স্বপ্না চক্রবর্তী : আগামী ১৯ জুলাই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘সাস্ট ক্লাব লিমিটেড’-এর কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে জমজমাট নির্বাচনী প্রচারণা। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদের উদ্যোগে ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘সাস্ট ক্লাব লিমিটেড’। ক্লাব প্রতিষ্ঠার পর প্রথম কার্যনির্বাহী পরিষদ সমঝোতার মাধ্যমে গঠিত হওয়ায় এবারই প্রথম প্রত্যক্ষ ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচনের এই আয়োজন নেয়া হলো। নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী হিসেবে এগিয়ে আছেন সাবেক ছাত্র নেতা কামরুল ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, কার্যনির্বাহী পরিষদের এই নির্বাচন ১১টি পদের বিপরীতে মোট ২৩ জন সদস্য তাদের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন। সভাপতি পদে ২ জন, সহ-সভাপতি পদে ২ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন, যুগ্ম সম্পাদক পদে ২ জন, কোষাধ্যক্ষ পদে ২ জন এবং সদস্য পদে ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীরা ইতিমধ্যেই অনলাইন ও অফলাইনে নিজ নিজ পক্ষে ভোট চাইছেন। প্রার্থীদেরকে সমর্থন করে অনেকেই অনলাইনে ও ব্যক্তিগতভাবে নিজ নিজ প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চাইছেন।
শীর্ষ পদগুলোর প্রার্থীদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, অতীতে তারা ক্যাম্পাসে প্রত্যক্ষভাবে হয় ছাত্রলীগ নতুবা ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সভাপতি পদের প্রার্থী কামরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের দ্বিতীয় কমিটির (৯৩-৯৪ সাল) সাধারণ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ শাকসু’তে ছাত্রদলের মনোনয়নে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। অপর প্রার্থী সঞ্জিত বণিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৃতীয় কমিটির (৯৫-৯৬ সাল) সভাপতি ছিলেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ৩ জনই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। এই পদের প্রার্থী মোহাম্মদ আখতারুজ্জামাম চৌধুরী রিন্টু ৯৫-৯৬ সালের ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় কমিটিতে সহ-সম্পাদক ছিলেন। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মাহবুবুর রহমান দিপু বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং অপর প্রার্থী মুস্তফা মনওয়ার হাশেম (সুজন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি শাবি ছাত্রলীগের জাকির-বাসিত কমিটির গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব ও চলচ্চিত্র বিষয়ক সংগঠন ‘চোখ ফিল্ম সোসাইটি’-এর সাবেক সভাপতি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নির্বাচনে ছাত্র সংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠনে নেতৃত্ব দানকারী ব্যক্তিরা অংশ নিতেই পারেন। তবে আমরা প্রতিক্রিয়াশীল ও প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতিনিধি সম্পর্কে সচেতন আছি। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর মাঝেও এই প্রগতিশীলতা ও প্রতিক্রিয়াশীলতার ছাপ আছে। তাই প্রতিনিধি নির্বাচনে আমরা পদ প্রত্যাশীদের অতীত কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আরও খোঁজ খবর নিচ্ছি।
সম্পাদনা : মিঠুন রাকসাম