আক্তারুজ্জামান : শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে রীতিমত ইঁদুর-বিড়াল খেললো ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের প্রতি আসরেই সবদলকে যা করে অজিরা, এবার নিজেরাই শিকার হলেন সেই ছেলেখেলার। স্বাগতিকদের ভারসাম্যপূর্ণ শক্তির সামনে দাঁড়াতেই পারেনি অজিরা। বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এসে মুখ থুবড়ে পড়লো অস্ট্রেলিয়া! বার্মিংহামের এজবাস্টনে ব্যাটিং-বোলিং কিংবা ফিল্ডিং সবক্ষেত্রেই ইংল্যান্ডের চেয়ে পিছিয়ে থেকে বিদায় নিয়েছে আসর থেকে। অস্ট্রেলিয়ার ছুঁড়ে দেয়া ২২৪ রান টপকাতে মরগানরা সময় নিয়েছেন মাত্র ৩২ ওভার। ৮ উইকেটে জিতে চতুর্থবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নিলো ইংল্যান্ড।
এর আগে সর্বশেষ ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে খেলেছিলো ইংল্যান্ড। একবারও শিরোপা স্বাদ নিতে না পারলে এবারের আগে আরও তিনবার ফাইনালের টিকিট পেয়েছিলো ইংলিশবাহিনী। এবার ঘরের মাঠে শিরোপা ধরে রাখার প্রত্যয় নিয়ে আসর শুরু করে সে পথের একেবারে প্রান্তেই চলে এসেছে তারা। আর দরকার একটি মাত্র জয়। আগামী ১৪ জুলাই লন্ডনের লডর্সে নিউজিল্যান্ডের প্রতিপক্ষ হয়ে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ খেলবেন রুট-মরগানরা।
২২৪ রানের লক্ষ্যটা ইংল্যান্ডের কাছে একেবারেই মামুলি হয়ে যায় শুধুমাত্র দুই ওপেনার জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো দারুণ শুরুতে ভর করে। বিশ্বকাপে রেকর্ড চতুর্থবারের মতো শত রানের ওপেনিং জুটি গড়েছেন এ দুজন। এজুটির ১২৪ রানেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। অবশ্য দল জেতার আগে দুজনই ফিরে যান সাজঘরে। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন জো রুট ও ইয়ন মরগান।
১২৪ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ার পথে জনি বেয়ারস্টো ব্যক্তিগত ৩৪ রানে স্টার্কের বলে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে পড়েন। আর ৬৫ বলে ৮৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হয়ে কামিন্সের বলে সাজঘরে ফেরেন রয়।
বার্মিংহামের এজবাস্টনে শুরুতে ব্যাটিং করে স্টিভেন স্মিথের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ২২৩ রানের মোটামুটি সংগ্রহ পায় অস্ট্রেলিয়া। পাওয়ার প্লের প্রথম ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে রান তুলেছিলো মাত্র ২৭। যা প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের সমান। কিন্তু অ্যালেক্স ক্যারিকে নিয়ে স্টিভেন স্মিথ দলকে একটু সামনে নেন। ওয়ার্নার, ফিঞ্চ ও হ্যান্ডসকম্ব দলকে বিপদে ফেলে চলে যান। ক্যারিকে নিয়ে ১০৩ রানের জুটি গড়েই দুশো পেরোনো সংগ্রহ দাঁড় করান। বাটলারের অসাধারণ থ্রোতে রান আউট হয়ে স্মিথ ফেরেন ৮৫ রানে। স্টার্ক ২৯ ও ম্যাক্সওয়েল ২২ রান করেন।
বল হাতে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন ইংল্যান্ডের বোলাররা। ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদ ৩টি করে এবং আরচার ২টি ও উড একটি উইকেট নেন।