আসিফ হাসান কাজল: বঙ্গবন্ধুর দেশে ধর্মের নামে সহিংসতা হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি বলেন, উগ্রবাদ এখন চিন্তার একটা বড় বিষয়। মুক্তিযুদ্ধে এ দেশে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান সবার রক্ত একই স্রোতে প্রবাহিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে 'সম্প্রীতি' আয়োজিত 'প্রকল্পের মাধ্যমে অর্জিত অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সহিংস উগ্রবাদ থেকে যুব সমাজকে প্রতিরোধে সুধিসমাজের করণীয়' শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বে জঙ্গিবাদ ঘটে চলেছে। এগুলো থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। মাদার তেরেসা শান্তির জন্য কাজ করেছেন। তিনি সহিংসতার কথা শুনলে সেখানে যেতেন না। যেখানে শান্তির কথা শুনতেন, সেখানে যেতেন। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবেলা নিয়ে প্রশংসিত। তিনিও একবারের জন্য সংহিস বা উগ্রবাদ কথাটি মুখে নিতেন না। জুমার নামাজে গিয়ে মুসল্লিদের পাহারা দিয়ে মানুষকে আশ্বস্ত করেছেন।’
বাংলাদেশকে নিয়ে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুনের বক্তব্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, জলাবায়ু মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সারা পৃথিবীর শিক্ষক বলেছেন বান কি মুন। বাংলাদেশকে সহিংসতা প্রতিরোধেও সারা পৃথিবীর শিক্ষক হতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশে সহিংসতা থাকতে পারে না। জাতিসংঘে দেয়া ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, সারা পৃথিবীতে অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে হবে। মানুষের অন্নের ব্যবস্থা করতে হবে। একটি বায়োপোলার ওয়ার্ল্ডে দাঁড়িয়ে এমন কথা বলেছিলেন তিনি।’
ভলান্টারি অ্যাসোসিয়েশন ফর ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ডের (ভাফুসড) নির্বাহী পরিচালক ড. আব্দুল কাইয়ূমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন তেজগাঁও সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মাজহারুল হাসান।
সম্পাদনা: অশোকেশ রায়
আপনার মতামত লিখুন :