শিরোনাম
◈ মার্কিন শুল্কে তৈরি পোশাক খাতের উদ্বেগ অস্বস্তি কি কেটে গেছে? ◈ স্বাধীনতা অর্জন পর্যন্ত সশস্ত্র প্রতিরোধ চলবে: হামাসের ঘোষণা ◈ এনসিপি নেতাদের ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ নিয়ে ভিডিও বার্তা ◈ নাশকতার আশঙ্কায় আগস্টজুড়ে চলবে চিরুনি অভিযান: ডিএমপি ◈ সংসদের উচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ◈ নিবন্ধনপ্রত্যাশী এনসিপিসহ ১৪৪ দলের তথ্য জমার সময়সীমা শেষ আজ ◈ ঘরে ঘরে হঠাৎ বেড়েছে জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলাব্যথা, চিকিৎসকরা বলছেন একসঙ্গে তিন ভাইরাস ছড়াচ্ছে ◈ জুলাই সনদ নিয়ে ভুয়া‌ চিঠি, পুলিশ সদর দপ্তরের হুঁশিয়ারি ◈ শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন হবে না: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার (ভিডিও) ◈ বেনাপোল বন্দর এলাকায় দুর্ধর্ষ চুরির ৪৮ ঘন্টার মধ্যে চোর গ্রেফতার

প্রকাশিত : ০৫ জুলাই, ২০১৯, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ০৫ জুলাই, ২০১৯, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ-মাহমুদা বেগম : সুদমুক্ত ভালোবাসার যুগলজীবন

মুসফেকা আলম ক্যামেলিয়া : মেডিসিনের স্বনামধন্য ডাক্তার ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ ও সমাজ কর্ম বিভাগের অধ্যাপক মাহমুদা বেগমকে নিয়ে ভালোবাসার এই গল্পগুলো করার ইচ্ছে ছিলো অনেকদিন। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে পড়বার সময় রুমমেট রুনু আপার কল্যাণে প্রথম পরিচয় হয় তাঁদের সঙ্গে। বরাবরই ডাক্তার সাহেব ছিলেন সাদামাটা স্বভাবের, আর আপা তখন দাপিয়ে বেড়ান কবিতা পাড়া। মহাদেব সাহা, কবি বেলাল আহমেদের সাথে নিত্য যাওয়া আসা। আশির দশকে এই মহীরথীদের সম্মিলিত কবিতার বইও একখানা আছে। চোখে সানগ্লাস, সুতি শাড়ি, বড় নখে নেইলপলিশের প্রলেপ। রুনু আপার সাথে আসে ঢাকা মেডিকেল কলেজে। কথাবার্তা হয় এমন, আপনি নামাজ পড়েন? না। কেন? নেইলপলিশ দিতে পারবো না তবে। ও আচ্ছা। শুরুতে দুই পথের হওয়ায় দুজনেই চুপ হয়ে যান। পরবর্তী সময়ে ইন্টার্নির জন্য আসতে হয় আপার আবার মেডিকেল কলেজ। আর তখনই সাবলীল এই মেয়েটিকেই ভালোবেসে ফেলেন তরুণ ডাক্তারটি। এরপর মৌন আবিষ্কারের মাঝে একদিন আপার ইন্টার্নির রুমে আসে কল। ফোন কেউ না ধরাতে এগিয়ে গিয়ে ধরে। অপর পাশের ব্যক্তিটি ডাক্তার সাহেব। এরপর থেকে রোজই কথা ফোনে ফোনে। মাঝে মাঝে বাসে চেপে আপাকে সিটে বসিয়ে নিজে হ্যান্ডেল ধরে সোজা বোটানিক্যাল গার্ডেন। সেই ভীষণ প্রেমে পড়া ব্যক্তিটির সাথে বিয়ের পর আপা আবিষ্কার করে, মানুষটির ধ্যানজ্ঞান বই আর সেবা। সাময়িক কষ্ট ছাপিয়ে আরও বড় সত্যকে খুব কাছে থেকে দেখতে পায় ধীরে। মানুষটি আপাকে করেন ভীষণ শ্রদ্ধা।

ব্যক্তি স্বাধীনতা আর অর্থনৈতিক স্বাধীনতায় কোনোদিনই হস্তক্ষেপ করেন না। আস্তে আস্তে আপার মাঝে আসে পরিবর্তন। ঠোটে আর নখের রঙ মাখাকে বাহুল্য লাগতে থাকে। নামাজি হয়ে উঠেন ধীরে ধীরে। একটা ছোট ঘটনা, একদিন আছরের নামাজের জন্য আপাকে ডাকে, তীব্র শীত তখন, আপার আলসেমি কাটছে না। নামাজের আগে একবার ডেকে নিজে নামাজ শেষ করে আবার যখন ডাকতে গেলেন, দেখে শুয়েই আছে। যাবেন চেম্বারে। আলতো হাতে গায়ের লেপটা আপার গায়ে ভালোভাবে টেনে দিয়ে চলে গেলেন। বেরিয়ে যেতেই লাফিয়ে উঠলেন আপা। আজ প্রায় ৪০ বছরের উপর তাদের সংসার জীবন। এখনও আগের মতোনই ভালোবাসেন একে অপরকে। আপা রবীন্দ্রসংগীত ভালোবাসেন বলে গাড়িতে একা চলার সময় রবীন্দ্রস্গংীত শুনতে শুনতে যান ডাক্তার সাহেব। ডাকেন দরবেশ নামে। গাড়ি থেকে নামিয়ে দেবার পরেও অপেক্ষায় থাকেন রাস্তা পারাপারের Ñ ‘দরবেশটা আবার কা- না ঘটায়’!

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়