নুর নাহার : সদস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে আগের কঠোর অবস্থান শিথিল করেছে আওয়ামী লীগ। তবে দুর্নীতি, মাদক, জঙ্গিবাদে জড়িতদের পাশাপাশি স্বাধীনতাবিরোধীদের জায়গা হবে না দলে। ইনডিপেনডেন্ট টিভি ১০:০০
সদস্য বাড়ানোর পাশাপাশি তথ্যভাণ্ডার তৈরির লক্ষ্য নিয়ে সোমবার থেকে কার্যক্রম শুরু করছে আওয়ামী লীগ।
২০১৭ সালের ২০ মে গণভবনে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তবে উদ্বোধনের ছয়মাস পরেই গতি হারায় এ কার্যক্রম। এ সময়ে ৭৮টির মধ্যে ৩৫টি সাংগঠনিক জেলা সদস্য সংগ্রহের কাগজপত্র কেন্দ্রের কাছ থেকে সংগ্রহ করে।
সদস্য সংগ্রহে স্থবিরতার কারণ হিসেবে ষোড়শ সংশোধনীর রায়, বন্যা ও রোহিঙ্গা পুনর্বাসনকে সামনে আনে কেন্দ্র। দুবছর পর এবারের অভিযানে সদস্য বাড়ানোর পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে তথ্যভন্ডারও। এজন্য প্রতিটি সাংগঠনিক জেলায় নির্দেশনা পাঠিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, দলের সদস্য সংখ্যা বাড়ানো এবং ডাটাবেইজ করা হচ্ছে। পরিকল্পিত সাংগঠনিক অবস্থাকে সুসংহত করার জন্যই এই ধরনের পদক্ষেপ। এর ধারাবাহিতার অংশ হিসেবে জুলাই থেকে আবার নতুন করে সদস্য সংগ্রহের ব্যাপার জোরদার করা।
দলটির এবারে লক্ষ্য নারী ও নতুন ভোটারদের সদস্য করা। তবে জায়গা হবে না দুর্নীতি, মাদক, জঙ্গিবাদে জড়িতদের।
২০১৭ সালের সদস্য সংগ্রহের সময় স্বাধীনতাবিরোধী ও বিএনপি জামাতের সাথে সম্পৃক্ত পরিবারের সদস্যদের আওয়ামী লীগের সদস্য না করার নির্দেশনা দেয়া হয়। তবে, এবার তা শিথিল করছে কেন্দ্র।
আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, একটি পরিবারে একজন অন্যদল করতে পরে। ব্যক্তি হিসেবে তার ভুমিকা কি ছিলো। এক পরিবারে আরেক ভাই অন্য দল করতেই পারে। কিন্তু ব্যক্তি হিসেবে তার কি ভূমিকা ছিল সেটি দেখা হবে। তবে স্বাধীনতাবিরোধীদের দলে নেয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, নির্দিষ্ট হারে চাঁদা দিয়ে প্রতি তিন বছর পর পর সদস্যপদ নবায়ন করতে হয়। প্রাথমিক সদস্যসহ বর্তমানে দলটির সদস্য সংখ্যা প্রায় দুই কোটি। সম্পাদনা : জামাল