শিরোনাম
◈ প্রবাসীদের কল্যাণে মালদ্বীপে হাইকমিশনের নতুন উদ্যোগ ◈ দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে যাবে ১,২০০ মেট্রিক টন ইলিশ, রপ্তানির অনুমোদন পেলো ৩৭ প্রতিষ্ঠান ◈ ঢাকায় তাপমাত্রা বেড়েছে জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশি, স্বাস্থ্য ও অর্থনীতি হুমকির মুখে ◈ ভুয়া জুলাই শহীদ-যোদ্ধাদের নাম তালিকা থেকে বাদ, জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ◈ কুয়াকাটা সৈকত থেকে আবারও অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার ◈ আদমদীঘিতে ভাঙা রেললাইনে কম্বল গুঁজে ১৮ ঘন্টা ট্রেন চলাচল ◈ জুলাই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হলে সব ধর্মের মানুষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ ব্যক্তি বিবেচনায় এলএনজি কেনা হচ্ছে না, পিটার হাসের কোম্পানি প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা ◈ বিসিএস পরীক্ষা: কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করল জামায়াত ◈ চশমা ছাড়াই স্পষ্ট দেখা সম্ভব, কার্যকর আই ড্রপ উদ্ভাবন

প্রকাশিত : ২৮ জুন, ২০১৯, ০৮:০৯ সকাল
আপডেট : ২৮ জুন, ২০১৯, ০৮:০৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের চেয়ে মূলধারার শিক্ষার্থীরা অধিক চরমপন্থী

আসিফুজ্জামান পৃথিল : সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ২০১৫-১৭ সালের মধ্যে ৩ হাজার শিক্ষার্থীর তথ্য সংগ্রহ করে জানা গেছে, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের চেয়ে মূলধারার স্কুলে পড়–য়া শিক্ষার্থীরা অধিকতর চরমপন্থায় বিশ্বাসী। ডয়েচে ভেলে।

এই বিষয়ে পুলিশের উপ-সহকারী মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ডয়েচে ভেলেকে বলেন, ‘সাধারণভাবে ধারণা করা হয়, শুধু মাদ্রাসাতেই জঙ্গি উৎপাদিত হয়। এটি একদম ভুল ধারণা। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে, শুধু মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকেই জঙ্গিবাদের জন্য দায়ি করা যাবে না।’ বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রধানত ৩ ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথমত রয়েছে সাধারণ শিক্ষা। এই ধারায় যেকোন ধর্মের, যে কোন শেণীর শিক্ষার্থীরা অংশ নিতেই পারে। এটিই মূলধারা। সাধারণ এই শিক্ষাব্যবস্থায় বাংলাদেশে ১ লাখের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। অপর ধারাটি মাদ্রাসা। এতে শুধু মুসলিম শিশুরা পড়তে পারে। তৃতীয়টি ইংরেজি মাধ্যম। পুলিশের গবেষণায় জানা গেছে, জঙ্গিদের ৫২ শতাংশই এসেছে সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থা থেকে। ২২ শতাংশ আসে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল থেকে। বাকিরা মাদ্রাসা থেকে। যদিও বাংলাদেশে ২০০ এ ধরণের স্কুলের তুলনায় ২০ হাজার মাদ্রাসা রয়েছে!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শান্তনু মজুমদার এই বিষয়ে ডয়েচে ভেলেকে বলেন, ‘জঙ্গিবাদের জন্য আসলে শিক্ষাব্যবস্থাকে দায়ি করার সুযোগ নেই। যে কোন ধরণের স্কুলে পড়েই একজন মানুষ এই ধরণের মতবাদে দিক্ষিত হতে পারে। তবে আমি এখনও মনে করি সরকারকে ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাস ও বই মনিটর করতেই হবে।’ এই গবেষণাটি বলছে ৮০ভাগ জঙ্গিই ইন্টারনেটের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে দিক্ষা নিয়েছে। বাকি ২০ শতাংশ জঙ্গি হয়েছে সঙ্গদোষে। পুলিশের ঐ কর্মকর্তা জানান বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসার তুলনায় বেইষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। তাই তারা জঙ্গি হচ্ছে বেশি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়