নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত কালা মিয়া শেখ (৫৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। নয় দিন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর বুধবার বিকেলে তার মৃত্যু ঘটে। নিহতের বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার পাচুড়িয়া গ্রামে।
বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত শেষে কালা মিয়া শেখের মরদেহ পাচুড়িয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে নেয়া হয়। বাদ আসর নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয় তাকে।
গত ১০ জুন কালা মিয়া শেখ তার বাড়ির পাশের পাটক্ষেতে দুর্বত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হন। হামলার পর পরই তার আত্মীয় কাজী সিরাজুল ইসলাম চারজন প্রতিবেশি জিন্দার শেখ, আসাদ আলী শেখ, নাদিম শেখ ও জসিম শেখের বিরুদ্ধে মুকসুদপুর থানায় মামলা করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর সেটিই এখন হত্যা মামলায় পরিণত হবে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ। তবে আসামিদের সবাই পলাতক থাকায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
পরিবারের অভিযোগ, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ওই চার প্রতিবেশী হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে কালা মিয়া শেখকে। পরে তিনি মারা গেছেন মনে করে মুখ ও পা গামছা দিয়ে বেধে সেখানেই ফেলে রেখে পালিয়ে যান তারা।
মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মুকসুদপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল, পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১২ জুন রাজধানীর ধানমণ্ডির একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে এবং ১৫ জুন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাকে। সেখানেই মৃত্যু ঘটে তার।
সম্পাদনা: অশোকেশ রায়