ডেস্ক রিপোর্ট : শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর সাগর পথে দক্ষিণ ভারতে সন্ত্রাসীরা প্রবেশের চেষ্টা করছে বলে নতুন করে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সূত্র বলছে, কলম্বো হামলা ছিলো জঙ্গিদের জন্য সহজ লক্ষ্য। এর মাধ্যমে তারা ভারতকে একটি বার্তা দিয়েছে যে, দক্ষিণ ভারত এখন আর নিরাপদ নয়। ইত্তেফাক
কলম্বোতে সন্ত্রাসী হামলা দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এখন আল কায়েদা ও আইএস’কে সমর্থন দিচ্ছে। এই সংগঠনগুলো সুফিবাদবিরোধী। এই পরিবর্তন এখন জম্মু-কাশ্মিরেও দেখা যাচ্ছে। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত যখন পাকিস্তানকে চাপে রাখতে চাইছে তখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীকে উৎসাহিত করছে। নরেন্দ্র মোদি সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে এটাই সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ।
সরকারের সূত্র বলছে, আইএসের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার ন্যাশনাল তাওহীদ জামাতের (এনটিজে) সহযোগিতা ভারতের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। শ্রীলঙ্কা তাওহীদ জামাত (এসএলটিজে) থেকে এনটিজে গঠিত হয়েছে যারা জামায়াতকে সমর্থন করে। সূত্র বলছে, কলম্বোস্থ পাকিস্তান হাই কমিশন আইএসআই ও আইএসের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে কাজ করেছে। ড. জাকির নায়েকের মাধ্যমে কেরালার অনেক যুবক উদ্বুদ্ধ হয়ে আইএসের সঙ্গে যোগ দিতে সিরিয়া গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনা দক্ষিণ এশিয়াকে উদ্বিগ্ন করতে যথেষ্ট।
দুটি বেসরকারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যবেক্ষণ কোম্পানির মতে, গত চার বছর ধরে আইএসের ‘প্রোপাগাণ্ডা’ দক্ষিণ ভারত বিশেষ করে কেরালায় প্রভাব ফেলেছে। যদিও ঐতিহ্যগতভাবে ভারত ও বাংলাদেশে আইএসের প্রভাব খুবই দুর্বল। এর কারণ হলো, এখানকার বেশিরভাগ মুসলিম ইসলামের সহনশীল মতাদর্শ বা সুফিবাদে বিশ্বাস করেন। কিন্তু সূত্র বলছে, এই ধারায় আইএসের কট্টর মতাদর্শ ধীরে ধীরে ঢুকে পড়ছে। মিয়ানমারে ও শ্রীলঙ্কায় বৌদ্ধ ও মুসলিমদের মধ্যকার সংঘাত অনেক উগ্রপন্থীদের ঐক্যবদ্ধ করেছে। অন্যদিকে ভারত ও বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় আইএস ও আল কায়েদা এক হয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনকে সহায়তা করছে। সূত্র জানায়, ধর্ম নিরপেক্ষ ভারতে সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই। এমন অবস্থায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।