সাজিয়া আক্তার : ড. মুসা বিন শমসের, সেই কবে থেকে উত্থান এই বঙ্গ সন্তানের। অল্প দিনেই বাংলাদেশের ফরিদপুরে জন্ম নেয়া মুসা বিন শমসের পরিণত হয়ে যান বিজনেস টাইকুেন। তবে বিশ^ব্যাপী সবচেয়ে আলোড়ন তৈরি করে তার লাইভ স্টাইল বা রাজকীয় জীবন-যাপন। বাংলা নিউজ টিভি
আর তাই নেলসল ম্যান্ডেলা, ডেডিক ফ্রস্ট, বিলক্লিনটনের মতো বিশ্ব বরেণ্য ব্যক্তিক্তরা মুসা বিন শমসেরকে প্রিন্স উপাধি দেন। প্রিন্স মুসাকে নিয়ে ঝড় ওঠে বিশ্ব গণমাধ্যমে। লন্ডনের প্রভাবশালী পত্রিকা সানডে টেলিগ্রাফ ১৯৯৮ সালের ১৭ মের সংখ্যায় প্রচ্ছদ করে ড. মুসা বিন শমসেরকে নিয়ে। টেলিগ্রাফের বিশেষ প্রতিনিধি নাইজেল ফান্ড্যাল তাকে নিয়ে শিরোনামে লেখেন ম্যান উইথ দা গোল্ডেন গান্স। ব্যবসা আর আর ফ্যাশনের পাশাপাশি ব্যক্তি জীবনেও এক মুক্ত প্রতিক ড. মুসা বিন শমসের। বুদ্ধিদীপ্ত ও মেধাবী তিন সন্তানের গর্বিত পিতা তিনি।
প্রিন্স মুসা বিন শমসেরের প্রাসাদকে ঘিরে গণমাধ্যমে নানা গল্প কাহিনী প্রায় সময় প্রকাশ পায়। মুগ্ধকর পরিপাটি এ প্রাসাদের দ্রুতিময় অসংখ্য ঝলক যে কারো দৃষ্টি কেড়ে নেয়। বাংলাদেশে জনশক্তি রপ্তানির প্রবাদ পুরুষ ড. মুসা বিন শমসেরের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হত দরিদ্র মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন এবং তাদের মুখে হাসি ফুটানো।
ড. মুসা বিন শমসের বলেন, আমি আশা করি এদেশের প্রতিটা মানুষ দেশ গড়ার জন্য একত্রে কাজ করবে এবং বর্তমান এই বাংলাদেশকে আগামী দিনে বিশ্বের একটি শ্রেষ্ঠ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে। তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহ দিতে হবে যেন দেশের ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে কেউ যেনো অনাহারে না থাকে। পৃথিবীর কোনো সরকারের একার পক্ষে দেশের উন্নয়নের সব কাজ করা সম্ভব নয়। এর দায়িত্ব প্রতিটা নাগরিকের। তার জন্য তরুণ প্রজন্মকে সবচেয়ে বেশি কাজ করতে হবে।
মুসা বিন শমসের, ১৯৪৫ সালে ফরিদপুরে জন্মগ্রহণকারী এই ছেলে বর্তমান বাংলাদেশে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছেন শীর্ষে। তার বিলাসী জীবন-যাপন ছাড়িয়ে গেছে পৃথিবীর যে কাউকে। বর্তমান পৃথিবীর ক্ষমতাশালী দেশ আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া এমনকি রাশিয়ার অনেক সিদ্ধান্তে সংশ্লিষ্ট থাকেন মুসা বিন শমসের।