আক্তারুজ্জামান : ক্রিকেট বিশ্বের দুই পরাশক্তি ভারত -পাকিস্তান কেউ কারো কাছে হার মানতে রাজি নয়। বল মাঠে গড়ানোর আগেই বিশ্বজুড়ে দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনার পারদ ছড়িয়ে পড়ে। এবারের আসরে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর খেলায় কোনো উত্তেজনাই পরিলক্ষিত হয়নি। যে কারণে বৃষ্টি আউনে পাকিস্তানকে সহজেই ৮৯ রানে হারালো ভারত। ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ভারতের ৩৩৬ রানের জবাবে ৪০ ওভারে ২১২ রান তুলেছিল পাকবাহিনী। ফলে বিশ্বকাপের আসরে চিরশত্রু ভারতের বিরুদ্ধে সপ্তমবারেও হার মেনে মাঠ ছেড়েছে পাকিস্তান।
ভারতের বিরুদ্ধে একদিনের ক্রিকেটে জয়ের পাল্লাটা পাকিস্তানের ভারি হলেও বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে গত ৬ বারের সাক্ষাতে সবগুলো হেরেছে। পাকদের বিরুদ্ধে জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখলো টিম ইন্ডিয়া।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল ভারত। শিখর ধাওয়ানের অনুপস্থিতিতে রোহিত শর্মার সাথে ওপেনিংয়ের দায়িত্ব পান লোকেশ রাহুল। সেই দায়িত্ব ভালোভাবেই পালন করেছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। রোহিত ও রাহুলের রেকর্ড জুটিতে বড় রানের ভিত পায় ভারত। দুজনের ওপেনিং জুটিতে আসে ১৩৬ রান। যা পাকিস্তানের বিপক্ষে যে কোন উইকেট জুটিতে ভারতের সর্বোচ্চ রান। ব্যক্তিগত ৫৭ রানে আউট হন রাহুল। তবে রোহিত ফেরেন সেঞ্চুরি করেই। তার ১১৩ বলে ১৪০ রানের ইনিংসটিতে ছিল ৩টি ছক্কা ও ১৪টি চারের মার।
এদিকে কোহলিও দারুণ বিধংসী ব্যাট করেছেন। মোহাম্মদ আমিরের বলে আউট হওয়ার আগে ৬৫ বলে করেছেন ৭৭ রান। মাঝে হার্দিক পান্ডিয়া স্বভাব সুলভ ১৯ বলে ২৬ রান করে আউট হন। এছাড়া বিজয় শঙ্কর ১৫* রানে অপরাজিত ছিলেন।
পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ আমির যথারীতি আগুন ঝরিয়েছেন। ১০ ওভার বল করে ৪৭ রান খরচায় নিয়েছেন ৩ উইকেট। ইমাদ ওয়াসিম উইকেট না পেলেও রান দেওয়ায় কৃপণেই ছিলেন।
রেকর্ড রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানি ইনিংসের ভিত গড়ার আগেই বিদায় নেন ইমাম উল হক। বিপদ কাটাতে হাল ধরেন বাবর আজম (৪৮) ও ফখর জামান (৬২)। ১০৪ রানের এ জুটি ভাঙার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন। শেষদিকে ইমাদ ওয়াসিম (৪৬*) ও শাদাব খান (২০*) প্রতিরোধ গড়লেও বৃষ্টি আইনের লক্ষ্য ছুঁতে পারেনি।
পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন মূলত ভেঙেছেন কুলদ্বীপ যাদব, বিজয় শঙ্কর ও হার্দিক পান্ডিয়া। বৃষ্টি আসার আগে তিনজনই ২টি করে উইকেট নেন। শুরু থেকে ধীরে খেলার শাস্তি ডিএল মেথডে যেয়ে ৪০ ওভারে ৩০২ রানের লক্ষ্য পায় পাকিস্তান। যা বৃষ্টির পর ৫ ওভারে দরকার হয় ১৩৬ রানের। অসম্ভবকে সম্ভব করা হয়নি ১৯৯২ সালের চ্যাম্পিয়নদের। ফলে চিরশত্রুদের কাছে আবারও হেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :