কামরুল হাসান মামুন : বাংলাদেশ যখন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলে তখন গ্যালারি ভরা থাকে বাংলাদেশি সাপোর্টারে যাদের অধিকাংশই আসলে ব্রিটিশ, কিন্তু বাংলাদেশি অরিজিন। তেমনি ভারত যখন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলে তখন গ্যালারি ভরা থাকে ভারতীয় সাপোর্টারে যাদের অধিকাংশই আসলে ব্রিটিশ, কিন্তু ভারতীয় অরিজিন। ঠিক একইরকমভাবে পাকিস্তান যখন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলে তখন গ্যালারি ভরা থাকে পাকিস্তানি সাপোর্টারে যাদের অধিকাংশই ব্রিটিশ, কিন্তু পাকিস্তানি অরিজিন।I feel pity for England that এই শংকর ব্রিটিশদের অনেকেই ব্রিটিশ জাতীয় দলে জায়গা পায়, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য হতে পারে, মেয়র বা কাউন্সিলর হতে পারে। তখন এরা হয়তো সরাসরি তাদের বাপ-দাদার দেশের সাপোর্ট করতে পারে না, কিন্তু আমি ভাবী এদের মনে আসলে কি ব্রিটিশদের প্রতি মায়া আছে? তারা এখন ব্রিটিশদের ট্যাক্সের সোশ্যাল সিকিউরিটি বা চাইল্ড বেনিফিট নেয়, বেকার ভাতা নেয়, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে সুবিধা নেয়। তাহলে তাদের কি উচিত যখন তাদের নিজের বর্তমান দেশ আর তাদের বাপ-দাদার দেশের সঙ্গে খেলা তখন নিজের দেশ ফেলে বাপ-দাদার দেশকেই সাপোর্ট করা?
আমাদের দেশে যদি ইমিগ্র্যান্ট হয়ে মানুষ আসতো এবং তাদের নাগরিকত্ব দিতাম সেই তারাই যদি তাদের ফেলে আসা দেশের সাপোর্ট করতো বিশেষ করে যখন বাংলাদেশ আর তাদের ফেলে আসা দেশের সঙ্গে খেলা হতো তখন যদি দেখি তারা তাদের ফেলে আসা দেশকেই সাপোর্ট করছে আমরা কি করতাম? , এই কারণে প্রখ্যাত ব্রিটিশ লেখক জিয়া হায়দার রহমান, যার জন্ম বাংলাদেশে, কিন্তু গড়ে উঠেছেন ব্রিটেনে তিনি নিজেকে বাংলাদেশি হিসাবে কখনো পরিচয় দেন না।He learnt how to move on with new identity! Most British citizen with subcontinental origin are stuck in the middle এসব কারণেই এখন আসল ইউরোপিয়ানরা মনে করেন, এই ইমিগ্রান্টসরা কখনো আপন হবে না। তারই কারণে দেখা গেছে এন্টি ইমিগ্রান্টস ডানপন্থীরা এখন শক্তিশালী হচ্ছে। ফেসবুক থেকে