এইচ এম জামাল: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ১৩ কিলোমিটার অংশ মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায়। দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতী এবং দ্বিতীয় মেঘনা সেতুর নির্মাণ কাজের কারণে এতদিন এ পথে মানুষজনকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। যানজটে পড়ে একইস্থানে বসে থাকতে হয়েছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন বিশেষ করে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করে টানা কয়েকদিন মহাসড়কের এ অংশে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কখনো সাড়ে ৩ থেকে ৫ ঘণ্টা আবার কখনো সারাদিন ব্যয় হতো এ ১৩ কিলোমিটার সড়ক পাড়ি দিতে। কিন্তু এখন সেই ‘দুর্ভোগের’ ১৩ কিলোমিটার পার হতে সময় লাগছে মাত্র ১০ মিনিট। পাল্টে গেছে দেশের সবচেয়ে ব্যস্ততম এই মহাসড়কের চিত্র। বাংলা নিউজ
গজারিয়ার মেঘনা নদীর ওপর দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতী সেতু এবং দ্বিতীয় মেঘনা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই স্বস্তিতে গন্তব্যে ফিরতে পারছেন যাত্রীরা। গত ২৪ ঘণ্টায় মহাসড়কের এ অংশে ২৯ হাজার গাড়ি আসা যাওয়া করেছে বলে জানিয়েছেন ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই কবির হোসেন।
তিনি জানান, বিগত শুক্রবার গুলোতে মহাসড়কে যানজট লেগেই থাকতো। যাত্রীদের দীর্ঘসময় ধরে অপেক্ষা করতে হতো। ঈদের কয়েকদিন আগ থেকেই মহাসড়কে দুর্ভোগ পোহাতে হতো। কিন্তু এখন মহাসড়ক ফাঁকা। গাড়িগুলো সর্বোচ্চ ১০ মিনিটের মধ্যেই ১৩ কিলোমিটার অংশ পার হচ্ছে। গাড়ির চাপ থাকলেও কোনো ধীরগতি নেই, খুব অল্পসময় লাগছে। নতুন সেতু খুলে দেয়ার পর থেকেই এ চিত্র মহাসড়কের। মহাসড়কে রিকশা, ভ্যানসহ অবৈধ যান চলছে না। হাইওয়ে পুলিশ ঘরমুখো যাত্রীদের যাত্রা নিরবিচ্ছন্ন করতে কাজ করছে।
যাত্রীরা জানায়, এ মহাসড়ক দিয়ে প্রায় ৩৫ হাজারের বেশি যানবাহন যাতায়াত করে। এতোদিন মেঘনা গোমতী ও মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজা পার হতে গিয়ে যানজটের মুখোমুখি হতে হতো। প্রায় ৫ থেকে ৬ বছর যানজটের কারণে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ঈদের আগে সেতুগুলো খুলে দেয়ায় এখন আর যানজট নেই, তাই যাত্রীদের আনন্দের সীমা নেই।
গত ২৫ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বহু প্রতীক্ষিত এই সেতু দুটির উদ্বোধন করেন।