আসিফ হাসান কাজল : গত ২০ বছরে শিশু মৃত্যুর হার ৬৩ শতাংশ কমিয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। (এমডিজি) মিলেনিয়াম ডেভলাপমেন্ট গোল অর্জনে অন্যতম ভূমিকা রেখেছে শিশু মৃত্যু হ্রাস। বুধবার ২৯ মে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সেভ দ্য চিলড্রেন-এর ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. ইশতিয়াক মান্নান এই তথ্য তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, ২০০০ সাল থেকে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশে শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারত, পাকিস্তানকে পিছনে ফেলে বাংলাদেশ সবার উপরের অবস্থানে রয়েছে। তবে সেভ দ্য চিলড্রেন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গ্লোবাল হেলথ অবজারভেটরির মতে, বাংলাদেশে এখনো নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে প্রতি ঘণ্টায় দুইজন শিশুর মৃত্যু ঘটে। ২০১৮ সালের ন্যাশনাল সিচুয়েশন এনালাইসিস রিপোর্ট অফ নিউমোনিয়া প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়া এখন মৃত্যুর প্রধান কারণ। জাতিসংঘের হিসাব অনুসারে ২০১৬ সালে পাঁচ বছরের নিচে মোট ১৬ শতাংশ শিশুর এবং ১২ থেকে ৫৯ বয়সী শিশুর মধ্যে মোট ৩০ শতাংশ শিশুর মৃত্যুর জন্য দায়ী নিউমোনিয়া।
ড. ইশতিয়াক মান্নান বলেন, অস্বাস্থ্য ও অপুষ্টি থেকে শুরু করে শিক্ষার অভাব, শিশুমৃত্যু ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে শিশুর জীবন বিকাশে বাংলাদেশের বিশাল অগ্রগতিকে অবশ্যই মূল্যায়ন করতে হবে। ২০ বছর আগের তুলনায় বর্তমানে বাংলাদেশের জন্ম নেয়া শিশুদের স্বাস্থ্যবান, সুখী, শিক্ষিত এবং সুরক্ষিত হয়ে বেড়ে ওঠার সুযোগ অনেক বেশি। কিন্তু নিউমোনিয়া মোকাবেলা করা একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবেই থেকে যাচ্ছে, বিশেষ করে দূরবর্তী গ্রামগুলোতে এবং ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে থাকা শিশুদের মধ্যে। আমাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করার সাথে সাথে বাংলাদেশ সরকার ও অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে আমাদের কাজের পরিধি আরো বাড়াতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন নিউমোনিয়া সেনেটারী কমিটমেন্ট অ্যাডভাইজার সাব্বির আহমেদ। এছাড়াও হেলথ নিউট্রিশন অ্যান্ড এইচআইভি ডিরেক্টর ড. শামীম জাহানসহ সেভ দ্য চিলড্রেনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।