জাবের হোসেন : ছবির নাম ‘পিএম-নরেন্দ্র মোদি’ হলেও কেবল শপথগ্রহণ ছাড়া প্রধানমন্ত্রিত্বের অংশ সামান্যমাত্র নেই। ছবির শেষের দিকে পরিচালক ওমাঙ্গ কুমার তো প্রমাণই করতে চেয়েছেন যে, মোদি কোনও নাম নয়। মোদি হল একটি ভাবনার নাম। যার তুলনাও একপ্রকার করা হয়েছে হিন্দুত্বের সঙ্গে। ছবিতে মোদির চরিত্রাভিনেতা বিবেক ওবেরয়ের মুখ দিয়ে এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলানো হয়েছে, হিন্দুইজম কোনও নির্দিষ্ট ধর্মের কথা বলে না। হিন্দুত্ব হল একটি ভাবনা। বর্তমান
যদিও ছবির শুরুতেই পরিচালক নেপথ্য ভাষণে বলেছেন, এই ছবি কোনও ব্যক্তি বা স¤প্রদায়কে তুলে ধরার জন্য নয়। দেশাত্ববোধকে জাগিয়ে তোলাই লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে অবশ্য ডাহা ফেল পরিচালক। কারণ ছবিতে মোদির প্রোপাগান্ডা করাই ছিল উদ্দেশ্য, তা স্পষ্ট। দেশাত্ববোধ জাগিয়ে তোলার জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার মতো কিছু গরম গরম সংলাপ বিবেক ওবেরয়ের মুখে বলানো হলেও আদতে তা মূল টার্গেট পূরণ করেনি।
সা¤প্রতিককালে সিনেমায় দেশাত্ববোধ জাগানোর ক্ষেত্রে যা পেরেছিল ‘উরি দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’। ‘পিএম-নরেন্দ্র মোদির ক্ষেত্রে তা কেবল শূন্য নয়। মাইনাস। শনিবার ছুটির দিনে ২৩৯ আসনের প্রেক্ষাগৃহও ভরেনি। মেরেকেটে পঞ্চাশজন। লোকসভা নির্বাচনে মোদির জয়জয়কারের আবহেও যা অবাকই করে। মোদির জীবনভিত্তিক ছবি দেখতে উৎসাহ কই! তবে হ্যাঁ, আশি বছরের বয়স্ক থেকে অষ্টাদশী হয়ে আট বছরের ছেলেমেয়েকে দর্শক আসনে দেখা গেলো।
ছবিতে রিসার্চের কোনও বালাই নেই। ভারত ভাগ, কাশ্মীর টুকরো, চীনের সঙ্গে যুদ্ধর জন্য নেহরুকে দায়ী করেও সংলাপ রাখা হয়েছে। মনমোহন সিংকে হাসির খোরাক একটি চরিত্র হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ইউপিএ সরকার দেখাতে ছবিতে দুটি শটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদলধরা একজনকেও দেখানো হয়েছে। সোনিয়া ঘনিষ্ট এক ব্যবসায়ীকেও দেখানো হয়েছে, ভিলেনি কায়দায়। কংগ্রেস বিরোধী প্রোপাগান্ডা আর মোদিময় মুহূর্ত তৈরি করাই ছবির উদ্দেশ্য বললে অত্যুক্তি হয় না। ছবিতে এসেছে চাওয়ালা মোদির ছেলেবেলা, যুবক বয়সে হিমালয়, আরএসএসের লাঠিখেলায় মোদির অবদানের প্রসঙ্গ। সম্পাদনা- কায়কোবাদ মিলন