সাজিয়া আক্তার : গবেষণা ও কাজের যথাযথ সুযোগ না পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক মেধাবী দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। আবার বিজ্ঞান বিষয়ে অনেক মেধাবী ছাত্রী ছুটছেন সরকারি চাকরির পেছনে। যেখানে তাদের বিজ্ঞানের লেখাপড়া খুব একটা কাজে দেয় না। বায়োকেমিস্ট্রি ও মলেকুলার বায়োলজি মতো বিষয়কে উন্নত দেশগুলোতে অনেক দাম দেয়। এনটিভি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন, আমাদের দেশে মেধাবীরা আর্থিক বা সামাজিক দিক থেকে তেমন কোনো সুবিধা না পাওয়ার কারণে দেশের বাইরে চলে যায়। কারণ বাইরে গেলে কাজের একটা বড় সুবিধা তারা পায়।
কেনো বায়োকেমিস্টিতে পড়া মেধাবীদের বেশি প্রয়োজন, এর জবাবে বলা হচ্ছে আগামী দিনগুলোতে ওষুধের কার্যকারিতা বাড়াতে জনগোষ্ঠীর নিজস্ব জেনেটিক বৈশিষ্টকে প্রাধান্য দিয়ে ওষুধ তৈরি করা হবে। আর সেটা করা হবে বায়ু টেকনোলজির মাধ্যমে। নিত্য নতুন বায়ু টেকনোলজির গুরুত্ব সর্বাধিক।
তাছাড়া বাংলাদেশের মতো দেশের প্রকৃতিতে এতোবেশি জেনেটিক বৈশিষ্ট রয়েছে যার ওপর গবেষণা করে কৃষি ও পরিবেশের অনেক অনেক পরিবর্তন ঘাটানো সম্ভব।
ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি ও মলেকুলার বায়োলজি অধ্যাপক ড. হাসিনা খান জানান, পৃথিবীর সব জায়গায় বায়োটেকনোলজি নিয়ে অনেক কাজ হচ্ছে এবং সেটা দেশের উন্নয়নের জন্য বড় ভূমিকা রাখছে। আমাদের দেশে এ বিষয়ে অনেক গ্রাজুয়েট তৈরি হচ্ছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত যারা গবেষণা করতে চায় তারা এদেশে তেমন সুযোগ পায় না বলে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছেন।
যে মেধাবীরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন সেই মেধাবীরা দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। মেধাবীদের দেশে ধরে রাখা সম্ভব। তবে কাজের ক্ষেত্র তৈরি করা না গেলে মেধাবীদের বিদেশমুখি প্রবণতা কোনোভাবেই ঠেকানো সম্ভব নয় বলে মত বিশ্লেষকদের।