স্পোর্টস ডেস্ক : বাজে একটা মৌসুম পার করলো স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। কোন শিরোপা না জিতে মৌসুম শেষ করার পর নতুনভাবে সব শুরুর পরিকল্পনা করছে লস ব্লাঙ্কোসরা। তারই সূত্রে জিদানকে দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ দেওয়ার পাশাপাশি অনেক ফুটবলার কেনা-বেচায়ও আলাদাভাবে নজর দিতে হচ্ছে। নতুন মৌসুম ঘিরে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ইউরো আয়ের লক্ষ্য হাতে নিয়েছে রিয়াল সভাপতি পেরেজ।
২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় করার পর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ক্লাব ছাড়ে। এরপরেই যেন ভেঙে পড়ে দল। রোনালদোর সাথে বিদায় জানিয়েছিলেন জিদানও সাথে নিয়ে গিয়েছিলেন রিয়ালের চ্যাম্পিয়ন মনোভাবটাও।
এক মৌসুমে দুই কোচ বরখাস্ত করেও সাফল্যের দেখা মেলেনি। তাই স্প্যানিশসহ আন্তর্জাতিক সকল গণমাধ্যমে জোর গুঞ্জন উঠেছে এবার দলকে ঢেলে সাজাবেন জিজু। ক্লাবে যোগ দিবেন অনেক তারকা আর তাদের জায়গা করে দিতে ক্লাব ছাড়তে হবে বেশ কিছু ফুটবলারকে।
এক প্রকার নিশ্চিত ক্লাবে আসছেন এডেন হ্যাজার্ড। আর ট্রান্সফার ফি হিসেবে চেলসিকে দিতে হবে কমপক্ষে ১০০ মিলিয়ন ইউরো। আর আক্রমণভাগে যোগ হচ্ছেন ফ্রাঙ্কফুর্টের হয়ে এ মৌসুমে ইউরোপ মাতানো লুকা জোভিচ। তার জন্য রিয়ালকে গুণতে হবে প্রায় ৭০ মিলিয়ন ইউরো।
আর মৌসুম শুরুর আগেই দুই ব্রাজিলিয়ান রদ্রিগো আর এডের মিলিতাও এর পেছনে ৯০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করেছে রিয়াল। হ্যাজার্ড, জোভিচ, রদ্রিগো আর মিলিতাও কে দলে ভেড়াতেই ক্লাবের খরচ প্রায় ২৬০ মিলিয়ন ইউরো।
এছাড়াও জিদানের ব্যক্তিগত পছন্দ ফারল্যান্ড মেন্ডি যার জন্য অলিম্পিক লিও চাইছেন ৪০ মিলিয়ন আর ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ী মিডফিল্ডার পল পগবাকে ১৫০ মিলিয়নের কমে ছাড়বে না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
সব মিলিয়ে এই মৌফুমে রিয়ালের খরচের লক্ষ্য প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন ইউরো। তবে উয়েফার ফেয়ার প্লে পলিসির জন্য নির্দিষ্ট অঙ্কের বেশি অর্থ খরচ করতে পারবে না কোন ক্লাবই। তাই তো খেলোয়াড় কেবল কিনলেই হবে না, কিছু খেলোয়াড়কে বিক্রি করে ব্যাঙ্কের হিসাবটাও মিলিয়ে রাখতে হবে অল হোয়াইটসদের।
আর এই দল থেকে বেশ কিছু ফুটবলারকে বিদায় দিয়ে রিয়াল অর্জন করতে চায় ৩০০ মিলিয়ন ইউরো। ক্লাব ছাড়ার তালিকায় আছেন গ্যারেথ বেল, জেমস রড্রিগেজ, ইস্কো, মার্কোস লরেন্তে, ড্যানি সেবায়োস, মারিয়ানো দিয়াজ, কেইলর নাভাসসহ আরও কয়েকজন।
এই ফুটবলারদের বিক্রি করে রিয়াল তাদের ব্যাঙ্ক একাউন্টে যোগ করতে চায় কমপক্ষে ৩০০ মিলিয়ন ইউরো। খরচ এবং উপার্জন সমান পর্যায়ে রাখতেই রিয়ালের এই ব্যবস্থা।
তবে শেষ পর্যন্ত ফুটবলার কিনে কত খরচ হবে আর বিক্রি করে কত অর্থ ক্লাবের একাউন্টে ঢুকবে তা পরিষ্কার হবে দলবদলের মৌসুম শুরু হলেই। তবে নিশ্চিত ভাবেই আসছে রিয়ালে এক আমূল পরিবর্তন। সারা বাংলা
আপনার মতামত লিখুন :