শিমুল মাহমুদ : রাজনৈতিক দলের সম্মানে বিএনপির ইফতারের ছিলো ৩০ টাকার খাবার। ইফতারের মেন্যুতে ছিলো, একটি পানির বোতল, দুই পিস খেজুর, এক পিস পেয়াজু, এক পিস বেগুনি, এক পিস ছোট জিলাপি, এক মুঠো মুড়ি এবং অল্প ছোলা। তবে এই ইফতারের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহŸায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু সাঈদ, জগলুল হায়দার আফ্রিক, দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টু, ঐক্যফ্রন্ট নেতা হাফসা আমিন, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা:জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তবে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কোনো প্রতিনিধিও যাননি ইফতারে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ইস্কাটন লেডিস ক্লাবে এই ইফতারে দেশের রাজিনৈতিক দলের নেতাদেরকে এই ইফতার দেয়া হয়। দলটির পক্ষ ে থেকে আগেই জানানো হয়েছিলো বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাবন্দী। কারাবিধি মোতাবেক তাকে প্রতিদিন ৩০টাকার ইফতার দেয়া হয়। দলের নেত্রীর প্রতি সম্মান রেথে বিএনপি ৩০টারা ইফতার করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেয়া। নেতাকর্মীদের দেয়া নিদের্শনা পালনে এবার দেশের রাজনৈতিক দলের নেতোদেরকে ৩০ টাকার ইফতার করানো হলো।
কারাবিধি মেনে রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের সম্মানে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে দলটি। ইফতারের প‚র্বে খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও মুক্তি জন্য মোনাজাত করেন ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা নেসারুল হক।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে অত্যন্ত ভারাক্রান্ত মন নিয়ে এই আয়োজনে অংশ নিতে হয়েছে। গণতন্ত্রের মাতা যিনি সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য কাজ করেছেন সম্প‚র্ণ মিথ্যা একটি মামলায় কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। আজকে বন্দি অবস্থায় তিনি শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) হাস্পাতালের ছোট একটি কক্ষে ইফতার সামনে নিয়ে অপেক্ষা করছেন। তার ইফতারের জন্য সরকারে বরাদ্দ মাত্র ৩০ টাকা। সে জন্য আমরা আজকের ইফতারে ৩০ টাকা বরাদ্দ করেছি। তাই সকল অতিথিবৃন্দ আপনাদের কষ্ট হলের স্বীকার করে নিবেন দেশনেত্রীর সম্মানের জন্য।
তিনি বলেন, আজকের এই ইফতার আমরা নিবেদন করেতে চাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, সারা দেশের নেতাকর্মী যারা কারাগারে আবদ্ধ আছেন,নিখোঁজ পরিবার এবং আমাদের সকল নির্যাতিত নেতৃবৃন্দের জন্য।
ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন,বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ,ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকার,ড.আব্দুল মঈন খান,আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী,ভাইস-চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান,আলতাব হোসেন চৌধুরী,বরকত উলাহ বুলু,আব্দুল আউয়াল মিন্টু,শামসুজ্জামান দুদু,ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন,আহমেদ আযম খান,শওকত মাহমুদ,চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উলাহ আমান,মিজানুর রহমান মিনু,হাবিবুর রহমান হাবিব,আব্দুল হাই শিকদার,যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খান,নাজমুল হক নান্নু,প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী,নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুলাহ প্রমুখ।
২০ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারী জেনারেল ডা: শফিকুর রহমান, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম, হামীদুর রহমান, প্রচার সম্পাদক তাসলিম আলম, ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মো:সেলিম উদ্দীন, দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলাম ভ‚ইয়া, কল্যান পার্টি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল(অব:)সৈয়দ মোহাম্মাদ ইব্রাহিম বীর প্রতিক, মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান, জাতীয় পার্টি(জাফর)মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, ডেমোক্রেটিক লীগের সভাপতি সাইফ উদ্দীন মনির, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা ইছহাক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজাহারুল ইসলাম, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা,মুসলিম লীগের জুলফিকার বুলবুল প্রমুখ। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু