সুজন কৈরী : রাজধানীর মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক ও সন্ত্রাস দমন আইনে অজ্ঞাতদের আসামি করে পল্টন থানায় একটি মামলা করেছে পুলিশ।
পল্টন থানার ডিউটি অফিসার এসআই মাইদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সদস্য শফিকুল চৌধুরী বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও সন্ত্রাস দমন আইনে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলাটি করেছেন।
রোববার রাতে মালিবাগ মোড়ে পুলিশ ভ্যানে ককটেল বিস্ফোরেন ঘটনা ঘটে। এতে নারী পুলিশ সদস্য ও রিকশা চালকসহ তিনজন আহত হন।
এদিকে সোমবার ঢামেক হাসপাতালে আহত রিকশা চালককে দেখতে যান ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি রিকশা চালক লাল মিয়ার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
এ সময় ডিএমপি কমিশনার বলেন, ককটেল বিস্ফোরণে রিকশা চালকের মাথার স্কাব ভেঙে ব্রেইনে চাপ লেগেছে। গতরাতে তার মাথার অস্ত্রোপচার হয়েছে। এখন সবকিছু নরমাল আছে। তবে এখনো ঝুঁকিপূর্ণ। তার চিকিৎসার জন্য যা যা করা দরকার সবকিছুই করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, ডিবি, সিআইডি বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। কারা কি উদ্দেশ্যে এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এটি কি ধরনের বিস্ফোরক তা কাউন্টার টেরোরিজমের বোম ডিসপোজাল ইউনিট খতিয়ে দেখছে। এটি পুলিশকে টার্গেট, নাকি অন্য কোনো লক্ষে করা হয়েছে তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ককটেলটি পুলিশ ভ্যানে পেছনে আগে থেকেই রাখা ছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। জনমনে ভীতি, নৈরাজ্য, অরাজকতা সুষ্টির জন্য কোনো গোষ্ঠী এটি করতে পারে। জঙ্গি সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা এই মুহূর্তে বলা যাবে না। তবে বিস্ফোরিত ককটেলটি সাধারণ ককটেল নয়। এটি সাধারণ ককটেলের চাইতে শক্তিশালী।