শিমুল মাহমুদ : পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে সড়ক ও রেলপথে চরম নৈরাজ্য চলছে। কোনো জবাবদিহিতা নেই। রোববার বিকেলে রাজধানীর বিজয় নগরের একটি হোটেলে লেবার পার্টির ইফতার মাহফিলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, প্রত্যেক ঈদের আগে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়; এবার দুর্ভোগ হবে না। গতকালও এজন্য নতুন একটি ট্রেন উদ্বোধন করা হয়েছে। কিন্তু দেখতে পাচ্ছি সাধারণ যাত্রীরা টিকিট কেনার আগেই অর্ধেক টিকিট বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। চরম নৈরাজ্য চলছে, সবক্ষেত্রে লুটপাট আর নৈরাজ্য চলছে। কোনো জবাবদিহিতা নেই। কে কার কথা শুনবে?
বিএনপির মহাসচিব বলেন, গোটা জাতি অস্থিতিশীল। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সেই দল যে দল ১৯৭৫ সালে বাকশাল প্রতিষ্ঠিত করেছিল। আজকে সেই বাকশালকে আবার প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা হচ্ছে। তারা সব সময় শুধু সংবিধানের দোহাই দেয়। কোন সংবিধান, এটা কি ’৭২ সালের সংবিধান? একদিকে গণতন্ত্রের কথা বলে অন্যদিকে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। একদিকে সংবিধানের কথা বলে অপরদিকে তারাই ভঙ্গ করে। আজকে তেমনিভাবে সংবিধানকে ভঙ্গ করে দেশনেত্রীকে আটক রাখা হয়েছে। মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল আদালতেও মানুষ এখন আর ভরসা রাখতে পারছে না। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় আদালতেও আজ দলীয় ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে দেশনেত্রী মিথ্যা মামলায় কারাবরণ করছেন। আপস করেননি বলে তিনি এখনও কারাগারে। গণতন্ত্রের সঙ্গে তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে মাহফিলে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, মাওলানা আব্দুল হালিম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :