রবিউল আলম : বাংলাদেশে যা কিছু খারাপ হচ্ছে সবই করছে ক্ষমতাশীল দল, তবে দেশে এতো ভালো কিছু হচ্ছে তা করছে কারা... প্রশ্ন অনেক উত্তর দেবে কারা? পত্রিকার পাতা খুললেই দেখা যায় মাদ্রাসার শিক্ষক ধর্ষণকারী আওয়ামী লীগ, ব্যাংক লুটেরা আওয়ামী লীগ, গাড়ির চাপায় মানুষ হত্যাকারী আওয়ামী লীগ, শিক্ষাঙ্গনে নকলকারী আওয়ামী লীগ, শিক্ষককে পেটানোর আসামি আওয়ামী লীগ। এতো আওয়ামী লীগ এতোদিন ছিলো কোথায়? পদ নেই, পদবি নেই, আওয়ামী লীগের কর্মীর অভাব নেই। সংবাদ করার আগে সত্যায়িত করার প্রয়োজনও নেই। সংবাদ হয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ কর্মী, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, যুবলীগ কর্মী... এটা কোন তালিকা থেকে হচ্ছে, কে তৈরি করছে কিছুই জানি না।
আমি ৩৪নং ওয়ার্ড ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। আমার কমিটির সদস্য সংখ্যা ৭২, এলাকার ভোটার ৫২ হাজার এবং প্রায় এক লাখ পঞ্চাশ হাজার লোকের বসবাস। এলাকার যে মাদক ব্যবসায়ীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে সে নাকি আওয়ামী লীগের কর্মী। এই পরিচয় দেয়ার উদ্দেশ্য কি, কে অপরাধীকে চিহ্নিত করবে? কিন্তু সংবাদ হলো এই মাদক ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে। আওয়ামী লীগের কোনো নেতা অপরাধ করে না আমি তা বলছি না। কিন্তু পদ-পদবি নিয়ে অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক।
মনে কষ্ট লাগে, কিছু ভালো কাজও আওয়ামী লীগের নেতা করে, অসহায় মানুষের পাশে দুর্যোগকালীন সময়ে জাতির প্রয়োজনে এই দলের কর্মীদের ভূমিকার সংবাদ আজকাল কম প্রকাশিত হয়। এই প্রশ্নের উত্তর আমরা কার কাছে চাইবো? আজকের বাংলাদেশ, আজকের উন্নয়ন, আজকের সমাজ ব্যবস্থার সিংহভাগ দাবিদার আওয়ামী লীগ, কিন্তু পত্রিকার পাতায় স্বীকৃতি কোথায়? অনেক রোগীর চিকিৎসার ব্যয়ভার, অনেক মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা, অনেক গরিব-দুঃখী মানুষের ঈদের ব্যয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বহন করে এবং করে আসছে।
কিন্তু কিছু চরিত্রহীন আওয়ামী লীগের কর্মীদের অপকর্মের পুরো দায়িত্ব আমরা বহন করতে পারি না। খারাপকে খারাপ বলতে হবে, ভালো কাজের জন্য উৎসাহিত করতে হবে। সব খারাপ কাজ যদি আওয়ামী লীগ করে থাকে তবে ভালো কাজগুলো করলো কারা? রাস্তাঘাট ও সামাজিক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো পরিচয় দিতে চায় না। কোন পদে আছেন জানতে চাইলে উত্তর হবে আমার চাচাশ্বশুর আওয়ামী লীগ করতো। খোঁজ নিয়ে জানা যায় জামায়াতের ক্যাডার ছিলো। এসব কবে বন্ধ হবে?লেখক : মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি