শেখ নাঈমা জাবীন : আধুনিক ডিজিটাল বিশ্বের কিছু মানুষ সর্বদা অভিযোগ করেন যে মানবতা হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার ভারতের আসামের বারপেটা শহরের একটি ঘটনা নিঃসন্দেহে মানবতার প্রতি ভরসা, বিশ্বাসের সওয়াল জোরালো করবে। যুগশঙ্খ
সারা বিশ্ব জুড়ে মুসলিম ধর্মাবলম্বিরা রমজানের পবিত্র মাস পালন করছেন। তবে এই সময় মানবতার নিদর্শন রাখলেন বারপেটা জেলার এক মুসলিম যুবক। বৃহস্পতিবার ২২ বছরের পাভেল হাসমি এক হিন্দু মহিলা রোগীকে (৪৫) রক্ত দানের জন্য তার রোজা ভাঙলেন। বহু বোতল রক্ত দেয়ার পর আরও রক্তের প্রয়োজন পড়ে। তবে রক্তদাতার খোঁজ মেলেনি। নিউ হোপস ফাউন্ডেশনের একজন সক্রিয় সদস্য পাভেল হাসমি বিকেলে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পারেন। তিনি শোনা মাত্রই দ্রুত রামজানের রোজা ভেঙ্গে রক্ত দান করেন এই মহিলাকে যিনি ধর্মে হিন্দু।
তিনি বারপেটা রোড থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বারপেটায় যান এই ভদ্রমহিলাকে রক্তদান করার জন্য। এই ঘটনা আরও প্রমাণ দিল যে মানবতার কোন ধর্ম নেই। হাসমি বিএইচ কলেজের স্নাতক স্তরের ছাত্র। হাসমি বলেন, ‘আমার কাছে রোজা পালনের থেকে একজন ব্যক্তির জীবন আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। রোগী কোন ধর্মের, হিন্দু বা মুসলিম বা খ্রিস্টান কিনা তা ভাবার বিষয় নয়। রক্তদানের ক্ষেত্রে এটা কোন ব্যাপার না। মানবতা সব উপরে।’
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘রমজান কেবলমাত্র উপবাসের দ্বারা পালন করা যায়, এমন নয়, দয়া ও ভালবাসার মাধ্যমেও পালন করা যায়।’ উল্লেখ্য, একইরকম একটি ঘটনায় কয়েকদিন আগে, দারাং জেলার মঙ্গলদাইয়ের ২৬ বছর বয়সী পানাউল্লা আহমদ রোজা ভেঙে রক্তদান করেন। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :