শিরোনাম
◈ অর্থনীতিতে ইতিবাচক ইঙ্গিত: রেকর্ডসংখ্যক কোটিপতি ব্যাংক হিসাব ◈ কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানালো বাংলাদেশ ◈ দুবাইয়ে বিকৃত যৌ.নাচার ব্যবসার চক্রের মুখোশ উন্মোচন এবার বিবিসির অনুসন্ধানে! ◈ জনপ্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে বদলি ◈ ‘আমার নাম স্বস্তিকা, বুড়িমা নই’ ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা ◈ তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আবার বাড়ল ◈ আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ লড়াই ক‌রে‌ছে হংকং, শেষ দি‌কে হাসারাঙ্গার দাপ‌টে জয় পে‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে আমন্ত্রণ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের

প্রকাশিত : ২৪ মে, ২০১৯, ০৮:৫৮ সকাল
আপডেট : ২৪ মে, ২০১৯, ০৮:৫৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কারামুক্তির পর জীবনযুদ্ধের সংগ্রামে মিয়ানমারের রাজনৈতিক বন্দীদের অসহনীয় জীবন

জাবের হোসেন : মিয়ানমারের সামরিক শাসনামলে স্বাধীন সংবাদপত্রের মালিক হওয়ার কারণে আট বছরের বেশি সময় কারাবরণের পর ২০১৩ সালে সাধারণ ক্ষমার অধীনে মুক্তি পান সোনি সোয়ে। সাউথ এশিয়ান মনিটর

সোনি সোয়ে সেই সব হাজার হাজার সাবেক রাজনৈতিক বন্দীদের একজন, যারা বহু বছর কারাগারে থাকার পর জীবনের বাস্তব পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন। যেখানে পুনর্বাসনের কোন ব্যবস্থা নেই, মিয়ানমারের বেসামরিক নির্বাচিত সরকারের তরফ থেকে কোন স্বীকৃতি বা সহায়তাও নেই।

অনেকেই বহু বছর জেলে থেকেছেন সামান্য কারণে হয়তো বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন তারা অথবা গণতন্ত্রের পক্ষে বই বিলি করেছিলেন। ২০১১ সালে সাবেক বার্মা এবং বর্তমানের মিয়ানমার যখন বহু দশকের সামরিক শাসন থেকে গণতন্ত্রের দিকে যাত্রা শুরু করলো, তখন শত শত রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দেয়া হয়।

এবং অং সান সু কি যিনি নিজেই একজন রাজনৈতিক বন্দী ছিলেন তার নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) যখন ২০১৫ সালে নির্বাচনের পরে ক্ষমতা গ্রহণ করলো, তখন আরও বহু বন্দীকে মুক্তি দেয়া হয়। কিন্তু মুক্তির পর সাবেক বন্দীরা দেখতে পেলেন যে, তাদের জন্য সহায়তা তেমন নেই এবং স্বাভাবিক জীবনে ফেরাটাও তাদের জন্য যথেষ্ট কঠিন।

সাবেক রাজনৈতিক বন্দীরা ২০০০ সালে অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশান ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি) প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা কো বো গি বলেন, আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা জানতাম বন্দীদশা থেকে মুক্তির পর এই ব্যক্তিদেরকে অনেক সংগ্রাম করতে হবে।

অধিকাংশ রাজনৈতিক বন্দীই তাদের গ্রেফতারের সময় চাকরি হারিয়েছে। কিন্তু মুক্তি পাওয়ার পরে তারা দেখতে পেলেন যে ক্রিমিনাল রেকর্ড থাকার কারণে তাদেরকে কেউ চাকরি দিতে চান না।

বো কি বলেন, বেশি সংখ্যক আন্তর্জাতিক গ্রুপ ও নাগরিক সমাজের প্রতিষ্ঠান যদিও রাজনৈতিক বন্দীদের কাজে নেয়া শুরু করে। কিন্তু বহু বছর কারাগারে থাকার কারণে স্বাভাবিকভাবেই তাদের দক্ষতা ছিল কম।

যে সব রাজনৈতিক বন্দীদের তাদের বন্দীত্বের মেয়াদ শেষের আগেই ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তাদেরকে মিয়ানমারের কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউরের অধীনে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়া হয়েছে। আইনে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে যে সাবেক রাজনৈতিক বন্দীরা তাদের মুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে। তাহলে তাদেরকে কোন ধরণের ওয়ারেন্ট ছাড়াই আবারও গ্রেফতার করা হবে এবং কারাদণ্ডের বাকি মেয়াদ পূর্ণ করা হবে। সম্পাদনা- কায়কোবাদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়