লীনা পারভীন : সব কিছুতেই নেগেটিভ সাইড খুঁজে বেড়ানো একপ্রকার সিরিয়াস মানসিক ব্যামো। আমাদের ফেসবুক প্রজাতির প্রায় সবাই এতে আক্রান্ত। কি সুশীল, কি কুশীল আর প্রগতিশীল। সব বুলশিট হয়ে গেছে। ধান কাটা নিয়ে ট্রলের কিছু নেই বা মন্ত্রী চার কিলো না চল্লিশ কিলো হাঁটছে সেইটা নিয়ে ট্রল করে টাইম পাস করি আমরা। এই এনার্জিটা যদি কৃষকের জন্য কি করা উচিত সেখানে সরকার তো আছেই পাশাপাশি নাগরিক হিসাবে আমাদের কিছু করার আছে কিনা বা শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে দু-চার কলম গঠনমূলক কিছু লেখা হতো তাহলে বুঝতাম কার চিন্তা কতোটা প্রসারিত।
ট্রেন্ডি ট্রলতো সবাই করতে পারে, কিন্তু চিন্তাশীল কজন হতে পারে? ট্রল করতে করতে একদিন সবাই ট্রলার হয়ে যাবে। ট্রলার ডুবির নিউজও বের হবে। পছন্দ না হলেই ট্রল করা লাগবে কেন? রাব্বানী যদি ধান কাটতে গিয়ে ছবি তুলে পোস্ট দেয় তাতে সমস্যা কি? আপনি দেন না ছবি? বিষয় হচ্ছে ছাত্রলীগের কাজ নয় এই ধান কাটা বা কৃষকের সমস্যার সমাধান এভাবে আসবে না। সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেন। রাব্বানীকে ক্লাউন বানিয়ে নিজেকে নিম্নস্তরের পদার্থ প্রমাণের দরকার কি?
নির্বাচিত মন্তব্য : বাবু মেহেদী-এসব ক্লাউনগিরি না করলেই হয়। তুই ধান কাটবি কাট এতো ঢং করে ছবি দেয়ার মাজেজা কি? আর লুঙ্গি দেখছেন? লাল পেড়ে সাদা সিল্ক। আপনার বাবা, চাচা, জামাই এমন লুঙ্গি পরছে কোনোদিন? মনে হইতাছে জয়া আহসানের শাড়ি ধার নিয়া আসছে! তো এই গুলারে ট্রল না করলে তো গুনাহ হবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :