কেএম নাহিদ : হিলি স্থল বন্দর দিয়ে গেল এক মাসে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৪শ' টন চিকন চাল আমদানি হচ্ছে। সরকারের বেঁধে দেয়া ২৮ শতাংশ শুল্ক দিয়েই চিকন চাল আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা। গেল এক মাসে চাল আমদানি থেকেই সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় ১৪ কোটি টাকা। ডিবিসি টিভি
আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবারে দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু বাজারে চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় দাম নেই নতুন ধানের। এর ওপর বাজারে প্রায় প্রতিদিনই ঢুকছে আমদানি করা চিকন চাল। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে আমদানি করা চালের চাহিদা বেড়েছে।
হিলি স্থল বন্দর চাল আমদানিকারক মোস্তাক হোসেন মাস্টার জানান, এই চালটা দেখতে একেবারেই মিনিকেটের মত এবং মিনিকেটের চাইতেও ভালো। এমনকি এই চাল রান্না করলে ভাত একেবারে ঝরঝরা হয়। এই জন্য গ্রাহকদের কাছে এর চাহিদা আছে।
হিলি স্থল বন্দর আমদানি রপ্তানিকারক গ্রুপ সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, এটা মোটা চাল না। এটা সাধারণত বিরিয়ানির চাল। এই চালটা বাংলাদেশে উৎপাদনই হয় না, তাই এটা ভারত থেকে আসছে। ২৮ শতাংশ শুল্ক, এই শুল্ক দিয়েই এই চালটা আসছে।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এপ্রিল মাসেও ২শ' ৩৩টি ভারতীয় ট্রাকে চাল এসেছে ৮ হাজার ২শ' টন। আর চলতি মাসে এ পর্যন্ত ১৫৩টি ট্রাকে নন বাসমতি চাল এসেছে ৬ হাজার ৩শ' ৪৪ টন। ফলে প্রতিদিন গড়ে চাল আমদানি হচ্ছে ৪শ' থেকে সাড়ে ৪শ' টন।
হিলি কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘এপ্রিল মাসে চাল আমদানি হয়েছে আট হাজার দুইশ মেট্রিক টন। মে মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত চাল আমদানি হয়েছে ছয় হাজার তিনশ চুয়াল্লিশ মেট্রিক টন। সর্বনিম্ন শুল্কায়ন হয় ৩৯০ মার্কিন ডলারে। এবং চাল আমদানি আজ পর্যন্ত অব্যাহত আছে। সম্পাদনায়: এইচএম জামাল