বিভুরঞ্জন সরকার : বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারতের ১৭ তম লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে ১৯ মে। এখন ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষা। ২৩ মে জানা যাবে কে হচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। মোদী কি ফিরে আসছেন? নাকি কংগ্রেসের রাহুল হবেন নতুন প্রধানমন্ত্রী? অথবা নতুন কেউ? মোদী তার ক্ষমতার পাঁচ বছরে একবারও সংবাদ সম্মেলন করেননি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি। এবার নির্বাচনের শেষে এসে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ না দিয়ে শুধু জানিয়েছেন যে তিনশ আসন জিতে তিনি আবার ফিরে আসছেন ভারত শাসনের শীর্ষ পদে।
তিনি দাবি করছেন, কিন্তু তার দাবির সঙ্গে বাস্তবতার মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। লড়াই এবার একতরফা হচ্ছে না। বিজেপি এককভাবে হয়তো বেশি আসন পাবে এরপর পৃষ্ঠা ২, সারি(প্রথম পৃষ্ঠার পর) কিন্তু সেটা সরকার গঠনের ম্যাজিক ফিগার ২৭২ হবে না। মিত্রদের নিয়ে এই সংখ্যায় পৌঁছানো না গেলে কি হবে?নির্বাচনের আগে বিজেপিবিরোবাধী বৃহত্তর মোর্জা গঠিত না হলেও এখন ভোট শেষে মোদীবিরোধী বৃহত্তর ঐক্য গড়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী ২৩ মে বিরোধী দলের বৈঠক ডেকেছেন। ঐক্যের স্বার্থে কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী পদের দাবি ছাড়তেও রাজি আছে বলে জানিয়েছে। অন্ধের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু দেখা করেছেন অনেকের সঙ্গে। পরবর্তী সরকার গঠনে যাদের ভূমিকা থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে নাইডু তাদের দুয়ারে হাজির হচ্ছেন।
তিনি সোনিয়া-রাহুলের সঙ্গেও সোমবার কথা বলবেন।ভোটাররা তাদের রায় ব্যালট বাক্সে দিয়ে দিয়েছেন। এখন চলবে নেপথ্যের রাজনীতির কুশলী পাশা খেলা। কার শক্তি কতোটুকু হবে তার ওপরই নির্ভর করবে হিসাবের খেলা। বিজেপিজোট যদি আড়াইশর কম আসন পায় তাহলে তাদের জন্য পরিস্থিতি কঠিন করে তুলতে পারে সম্মিলত বিরোধী শক্তি। তবে ভারতের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই এখনও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদীকেই এগিয়ে রাখছেন। তার কাছে বাজীমাত করার জন্য তুরুপের তাস কিছু আছে কি না দেখার অপেক্ষা সেটাই।লেখক : গ্রুপ যুগ্ম সম্পাদক, আমাদের নতুন সময়॥
আপনার মতামত লিখুন :