শিরোনাম
◈ শেহবাজ শরীফের পক্ষ থেকে ইসহাহাক দার বেগম জিয়াকে শুভেচ্ছা জানান  ◈ সার্কের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতা পুনরুজ্জীবনের ওপর গুরুত্বারোপ  ◈ কমিশনের সঙ্গে আইনজ্ঞদের বৈঠক: গণভোট বা বিশেষ আদেশে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরামর্শ ◈ সারা দেশের নেতাকর্মীদের নতুন বার্তা দিল এনসিপি ◈ যেভাবে গ্রেপ্তার হলেন তৌহিদ আফ্রিদি, ভিডিও ভাইরাল ◈ ৮ ঘণ্টা অবরুদ্ধ জবি ভিসি, দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন শিক্ষার্থীরা ◈ ইসিতে ধাক্কাধাক্কি: রুমিন ফারহানার অনুসারীদের মহাসড়ক অবরোধ, এনসিপির বিক্ষোভ ◈ সাকিব আল হাসান আবারও বিশ্ব ক্রিকেটে এক অনন্য মাইলফলক স্পর্শ করলেন ◈ যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটন ভিসার ফি বাড়ছে প্রায় ১৫০ শতাংশ ◈ বাবার পর এবার কনটেন্ট নির্মাতা তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত : ১১ মে, ২০১৯, ০৯:৫৭ সকাল
আপডেট : ১১ মে, ২০১৯, ০৯:৫৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘টাঙ্গাইলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে টাকা লাগে’

কালের কণ্ঠ : 'সাংবাদিক কি হয় তোমার? সাংবাদিক কি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দিবে না আমি দিব, তুমি আমার পেছনে ঘুরবা, সাংবাদিকের পেছনে ঘুর কেন। সাংবাদিক কি তোমার টাকা দিয়ে দিবে? তোমাকে আসতে বলছি তুমি আসনা কেন। দেখা কর, স্যার, আমি তো এত টাকা দিতে পারবো না। কম হবে না? তাহলে তোমার লাইসেন্স লাগবে না। থাক তাহলে থাক।'

এটা কোনো গল্প না, এটা এক পুলিশ সদস্য এবং গাড়িচালকের কথোপকথন।

মৃদুল মিয়া একজন গাড়িচালক। সে মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের পাকুল্যা পূর্বপাড়া গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে। ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য টাঙ্গাইল বিআরটিএতে পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি। পরীক্ষায় কৃতকার্যও হয়েছেন। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার আগে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের প্রয়োজন হয়। নিয়ম অনুযায়ী বিআরটিএ থেকে পুলিশের টাঙ্গাইল জেলা বিশেষ শাখার মাধ্যমে মৃদুলের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চাওয়া হয়। গত দুই সপ্তাহ আগে মির্জাপুর থানায় কর্মরত পুলিশের টাঙ্গাইল জেলা বিশেষ শাখার (ডিএসবি) কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম মৃদুলকে মুঠোফোনে ফোন দিয়ে দেখা করতে বলেন। মৃদুল মির্জাপুরে তার সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম মৃদুলের কাছে ২ হাজার টাকা দাবি করেন। মৃদুল দরিদ্র পরিবারের সন্তান- এত টাকা দিতে পারবে না বলে জানান।

সাইফুল ইসলাম টাকা ছাড়া ক্লিয়ারেন্স হবে না জানালে মৃদুল প্রথমে ৫ শ টাকা দিতে রাজি হয়। ৫ শ টাকায় তিনি রাজি না হওয়ায় তার কাছে থাকা সব মিলিয়ে ৭ শ টাকা দিলেও সাইফুল নেননি। এ সময় পাকুল্যা এলাকার এক ব্যক্তির কাছে মুঠোফোনে ফোন দিয়ে জানতে বলেন তার ক্লিয়ারেন্স বাবদ কত টাকা দিয়েছে। মুঠোফোনে মৃদুলকে ১৫ শ টাকার কথা জানান ওই ব্যক্তি। সাইফুলও সর্বশেষ মৃদুলকে জানান ১৫ শ টাকা পেলে ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হবে।

মৃদুল ১৫ শ টাকা ব্যবস্থা করতে না পেরে স্থানীয় এক সাংবাদিককে দিয়ে ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার জন্য সাইফুল ইসলামকে সুপারিশ করান। এতে সাইফুল ক্ষিপ্ত হয়ে মৃদুলকে মুঠোফোনে ফোন দিয়ে বলেন, সাংবাদিক কি হয় তোমার? সাংবাদিক কি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দিবে না আমি দিব, তুমি আমার পেছনে ঘুরবা, সাংবাদিকের পেছনে ঘুর কেন? সাংবাদিক কি তোমার টাকা দিয়ে দিবে? তোমাকে আসতে বলছি তুমি আস না কেন। দেখা কর, স্যার, আমি তো এত টাকা দিতে পারবো না। কম হবে না? তাহলে তোমার লাইসেন্স লাগবে না। থাক তাহলে থাক এই বলে লাইন কেটে দেন সাইফুল।

মির্জাপুরে কর্তব্যরত কনস্টেবল সাইফুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কালের কণ্ঠকে বলেন, ক্লিয়ারেন্স পেতে টাকা লাগে। কোথায় লাগে বলবেন কি? হ্যাঁ, টাঙ্গাইলে লাগে, টাঙ্গাইল যেয়ে দেখেন- এই বলে ফোন কেটে দেন।

টাঙ্গাইলের ডিআইওওয়ান (পরিদর্শক) হারেজ আলীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে টাঙ্গাইলে কোনো টাকা লাগে না। এ বিষয়টি মিথ্যে কথা। আমি সাইফুলকে এ বিষয়ে ডেকে আনব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়