লিহান লিমা: আমাদের ধারণার চাইতেও বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সম্পদের বিভাজন বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি। বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান তাপদাহ ও উষ্ণতার পরিমাণ নানা ভাবে প্রভাব ফেলছে। বিবিসি
গত অর্ধশতকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশগুলোর মধ্যে বৈষম্য বেড়েছে, দরিদ্র দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া সহ ধনীদের সম্পদ আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছে নতুন এক সমীক্ষা। ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেন, ‘ধনী ও দরিদ্র দেশগুলের মধ্যে এই বিভাজন এখন ২৫ শতাংশ বেড়েছে, যার জন্য পুরোপুরিই দায়ী বৈশ্বিক উষ্ণতা।’
ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্স জার্নালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ধনী দেশগুলোয় জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ভূমিকা রাখছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। এই দেশগুলোর মধ্যে কয়েকটি দেশ বিশ্বের বৃহত্তম গ্রীনহাউস গ্যাস নিঃসরণকারী। গবেষণায় উঠে আসে, অতিরিক্ত তাপমাত্রায় শ্রম উৎপাদন হ্রাস পায়, সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পায় আন্তব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব। সমীক্ষায় উঠে আসে, ১৯৬১ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বিশ্বের যে ১৮টি দেশ মাথাপিছু ১০টনেরও কম কার্বন নিঃসরণ করেছে তারাই বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে ১৯টি দেশের মধ্যে যে ১৪টি দেশ মাথাপিছু ৩০০টনের মতো কার্বন নিঃসরণ করেছে বৈশ্বিক উষ্ণতা থেকে তারাই লাভবান হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আফ্রিকার দেশগুলো। মৌরিতানিয়া ও নাইজারের মাথাপিছু জিডিপি ৪০শতাংশেরও বেশি কমে গিয়েছে। আইএমএফ জানিয়েছছে, বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারতে ২০১০ সালে মাথাপিছু জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিলো ৩১ শতাংশের কম। ব্রাজিলে এই হার ২৫ শতাংশ। সাইক্লোনের ঝক্কি কাটিয়ে ওঠার পরপরই ২৫ এপ্রিল ভূমিধ্বসে মোজাম্বিকের ৪০জনেরও বেশি মারা যান। মার্চে জিম্বাবুয়ে, মালাওই ও মোজাম্বিকে সাইক্লোন ইদাইয়ের কবলে পড়ে মারা যান ৯০০জনেরও বেশি। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১৮ সালে ‘ডে জিরো’ পানি সংকট ও সম্প্রতি কোয়া-জুলু নাতালে বন্যার শিকার হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনে আফ্রিকান দেশগুলোর ভূমিকা খুব স্বল্প হ্ল্ওে বন্যা, খরা ও সাইক্লোনে তারাই বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছেন।