শিরোনাম
◈ সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সাংবাদিক আনিস আলমগীর–শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ◈ পাখির চোখ ভোট, ধর্মনিরপেক্ষ বহুত্বে জোর বিএনপি'র ◈ জলবায়ু সংকটে অস্তিত্বের সীমানায় দক্ষিণ এশিয়া—অসহযোগ নয়, বাঁচাতে হলে এখনই আঞ্চলিক ঐক্য ও যৌথ অভিযোজন জরুরি ◈ বিদেশি মিডিয়া যা বলছে ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করা নিয়ে ◈ ১৪ মাসে গ্রেপ্তার ফ্যাসিস্টের ৫৬,১৮৭ দোসর, ৭০ ভাগই জামিনে মুক্ত! ◈ অ‌নেক ক‌ষ্টে পরাজয় এড়ালো বায়ার্ন মিউ‌নিখ ◈ ওসমান হাদি হত্যাচেষ্টা: ফয়সাল ও আলমগীর গুয়াহাটিতে, ভারতীয় সিম ব্যবহারের নতুন তথ্য প্রকাশ করলেন সাংবাদিক সায়ের ◈ দে‌শের ঐতিহাসিক রেওয়াজ বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ পরপর দুই বছর কেনো বন্ধ করলো অন্তর্বর্তী সরকার? ◈ তানজিম সাকিব আইপিএলে দল পেলেন ৭৫ লাখ রুপিতে! ◈ ওসমান হাদিকে গু‌লি ক‌রে হত‌্যা চেষ্টায় পল্টন থানায় মামলা

প্রকাশিত : ২৮ এপ্রিল, ২০১৯, ০৩:৫৭ রাত
আপডেট : ২৮ এপ্রিল, ২০১৯, ০৩:৫৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এই দেশটারে কি কেউ চালাচ্ছে? চললেই কি চালানো বলে?

কামরুল হাসান মামুন : বসবাসের জন্য ঢাকা কেন বিশ্বে দ্বিতীয় খারাপ শহর? এখানকার বায়ুতে দুনিয়ার যতো বিষাক্ত জিনিস আছে সবগুলোই মাত্রাতিরিক্ত এজন্য। এই ঢাকা শহরের চারপাশে চার-চারটি বড় নদী অথচ সেগুলো এখন দখলে দূষণে নর্দমা। বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতি শহরের মানুষগুলো চলাচলের জন্য মোট জমির কেবল সাত শতাংশ রাস্তা যেটা হওয়া উচিত ছিলো ২৫ শতাংশের বেশি। এখানকার রাস্তাগুলো মানুষ আর যানবাহনে গিজগিজ করে। দিন যতো যাচ্ছে গাছপালা ততোই কমছে। বাংলাদেশটা যেহেতু তৈরিই হয়েছে পলি জমে তাই এখানকার মাটির গঠন হলো ফাইন পার্টিকেল, ফলে সহজেই বাতাসে ভেসে থাকতে পারে। উচিত ছিলো সব খোলা মাটি ঘাসে ঢেকে দেয়া নচেৎ কনক্রিট কিংবা ছোট পাথর দিয়ে ঢেকে দেয়া। এতো বড় সমস্যাকে কি আমাদের সরকার সমস্যা মনে করছে?

করলেও এই সমস্যার ভয়বহতাকে হয়তো পাত্তা দিচ্ছে না। ফলে যেই শহরটি হতে পারতো নয়নাভিরাম সেই শহরটি হয়ে উঠেছে পৃথিবীতেই এক হাবিয়া দোজখ। কোনো প্রকার অ্যাকশন প্ল্যান নেই। বর্তমান যুগে যেখানে আর ক’দিন বাদেই হয়তো আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স রাজত্ব করবে সেখানে আমরা আজ অটোমেটিক ট্রাফিক ব্যবস্থাই চালু করতে পারলাম না। রাস্তাঘাটের যেই হ-য-ব-র-ল অবস্থা সেটা একটি মেজার নিলে অনেকাংশে কমে যাবে যদি আমাদের ট্রাফিক ব্যবস্থায় যেই পুলিশ বাহিনী জড়িত তারা সৎ হন। তারা যদি আড়ালে থেকে সড়কে আইন অমান্যকারীকে ধরামাত্র বিশাল এমাউন্ট জরিমানা বা জেল দিয়ে দেয়। এখন আইন অমান্য করে ক্ষমতা দেখিয়ে ছাড়া পেয়ে গেলে কিংবা টাকা দিয়ে ছাড়া পেয়ে গেলে সড়কে শৃঙ্খলা কোনোদিন আসবে না।

ইন ফ্যাক্ট, আমাদের পুলিশ বাহিনী যদি আজকেই শপথ নেয় যে, তারা আর কাউকে মাদক ব্যবসা করতে দিবে না আর সরকার যদি তাতে সায় দেয় তাহলে এক তুরুপেই সব বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের লঞ্চ মালিক সমিতি যদি ডিসাইড করে যে, যেই নদী দিয়ে আমরা জীবিকা নির্বাহ করি সেই আয়ের একটি অংশ নদী দূষণ রোধ এবং পরিষ্কারকরণে ব্যবহার করবে তাহলেও অনেক কাজ হবে। এসব আমি কেন লিখলাম? আজকেই আমি প্রথম লিখলাম? আমিই কি একমাত্র ব্যক্তি যে, একথাগুলো প্রথম বললাম? আমিই একা নই। আর এই প্রথম নয়। কেউ কানে দিবে না। কারণ এদেশের সবাই আছে নিজের লাভের পেছনে। অধিকাংশ মানুষ সমষ্টির লাভের গুষ্টিকিলায়। কারণ এই দেশের মানুষদের এই শিক্ষাটাই হয়নি এজন্য। সমষ্টির মঙ্গল চিন্তা না করলে কারো সুখ আসবে না। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়