সাইদুর রহমান: আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আমি তোমাদেরকে ভয়, ক্ষুধা, সম্পত্তি, জীবন এবং ফসল হারানো দিয়ে পরীক্ষা করবই। জীবনে কোনো বিপদ আসলে যারা ধৈর্যের সাথে চেষ্টা করে এবং বিপদে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে বলে, “আমরা তো আল্লাহরই জন্য এবং আল্লাহরই কাছে আমরা শেষ পর্যন্ত ফিরে যাবো” তাদেরকে সুসংবাদ দাও! ওদের উপর তাদের প্রভুর কাছ থেকে আছে বিশেষ অনুগ্রহ এবং শান্তি। এধরনের মানুষরাই সঠিক পথে আছে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৫৫-১৫৭)
প্রিয়নবী (সা.) হাদিসে বলেন, ‘আল্লাহ যার ভালো চান তাকে দুঃখ কষ্টে ফেলেন।’ (বুখারি, হাদিস নং: ৫৬৪৫) তবে কষ্ট-মুসিবত কামনা করা যাবে না, এবং সবসময় আল্লাহর কাছে সুস্থতা, নিরাপদা ও নিরাপত্তার আশ্রয় চাইতে হবে। এসে গেলে সবর করতে হবে। হযরত আলী রা. বলতেন, হে আল্লাহ! আমাদের পরিক্ষা করেন না আর আপনার সিদ্ধান্ত হয়ে থাকলে সবরের তাওফিক দিন।
হাদিসে রাসুল (সা.) আরো বলেন, ‘যদি কারো উপর কোনো কষ্ট আসে, আল্লাহ তাআলা এর কারণে তার গুনাহসমূহ ঝরিয়ে দেন; যেমনভাবে গাছ থেকে পাতা ঝরে পড়ে।’ (বুখারি, হাদিস নং: ৫৬৮৪)
মানুষের প্রতিটা কষ্টের সঙ্গে সুখ মিশে আছে। ধৈর্যশীল মানুষ সেই সুখের অপেক্ষা করেন। তারা জানেন, জীবনে যত ঘোর আসুক না কেন, এক সময় তা কেটে যাবে। কষ্টের এ সময়গুলোতে ধৈর্য্যের সঙ্গে অবিচল থাকাই মুমিনের গুণ।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘প্রতিটি কষ্টের সঙ্গে অবশ্যই কোনো না কোনো দিক থেকে স্বস্তি রয়েছে। কোনো সন্দেহ নেই, অবশ্যই প্রতিটি কষ্টের সঙ্গে অন্য দিকে স্বস্তি আছেই।’ (সুরা আল-ইনশিরাহ, আয়াত: ৫-৬)
বলাবাহুল্য, মানুষের প্রতিটি কষ্টই ক্ষণস্থায়ী। আর কষ্টের বিনিময়ে মানুষকে সর্বোত্তম বিনিময় দেওয়া হবে। এ বিষয়ে মহান আল্লাহ প্রতিজ্ঞা করে বলেছেন। অথচ আল্লাহ তাআলা প্রতিজ্ঞা না করলেও কোনো অসুবিধা নেই। তবে কষ্ট-মুসিবত কামনা করা যাবে না, এবং সবসময় আল্লাহর কাছে সুস্থতা, নিরাপদা ও নিরাপত্তার আশ্রয় চাইতে হবে।