ইমাম হোসেন, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) : একাত্তরের রণাঙ্গনে জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছেন। স্বাধীনতার পর ১৯৮০ সালে জীবিকার তাগিদে চলে যান প্রবাসে। যা আয় করেছেন (৩ মেয়ে ১ ছেলে ও স্ত্রী) পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবন অতিবাহিত করেছেন। গত ৪ বছর পূর্বে তিনি দেশে ফিরে আসেন।
বলছি একজন মুক্তিযোদ্ধার কথা। তিনি হলেন, মীরসরাই উপজেলার ১২ নং খৈয়াছরা ইউনিয়নের পূর্ব পোল মোগরা গ্রামের মৃত মনির আহমদের ছেলে রফিউজ্জামান। এখন প্যারালাইজডে তার শরীরের অর্ধাংশ অবস হয়ে গেছে। অর্থাভাবে চিকিৎসাও হচ্ছে না তার। তার দাবি, অন্তত মৃত্যুর আগে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতিটা যেন পান।
রফিউজ্জামান বলেন, ১৯৭১ সালের মে মাসে ভারতের হরিনা ক্যাম্পের বগাপায় ভারতীয় শিখ সেনার হাতে ১ মাস প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। দেশে এসে ১নং সেক্টরের মেজর রফিকুল ইসলামের অধীনে ও ছোট কমলদহের নিজাম কমান্ডারের নের্তৃত্বে মীরসরাইয়ের বিভিন্নস্থানে যুদ্ধ করি। তার সহযোদ্ধা ছিলেন পূর্ব পোলমোগরা গ্রামের সিরাজুল হক, একই এলাকার ছালামত উল্লাহ ও মাঝির তালুক গ্রামের মকছুদ আহমদ। যুদ্ধ পরবর্তি সময়ে নিজামপুর কলেজে অস্ত্র জমা দেন। গত বছর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের সময় অনলাইনে আবেদন করি। আবেদন নং- ২০৩।
মীরসরাই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কবির আহম্মদ বলেন, গত বছর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছইয়ের সময় রফিউজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছিল। তার সহযোদ্ধারা তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বাক্ষী দিয়েছেন। অনলাইনে আবেদনের পর সমস্ত কাগজপত্র মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এখন মন্ত্রণালয় থেকে গেজেট আকারে যাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে তারা মুক্তিযোদ্ধ হিসেবে সরকারি স্বীকৃতি এবং ভাতাভুক্ত হবেন।
আপনার মতামত লিখুন :