শিরোনাম
◈ একের পর এক নিষেধাজ্ঞা, ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক কোন দিকে? নানা প্রশ্ন ◈ স্থলপথে কেন বাংলাদেশি পণ্যে নিষেধাজ্ঞা, জানাল ভারত ◈ খালেদা জিয়ার সঙ্গে কর্নেল অলির সাক্ষাৎ ◈ ভারতে কমেছে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার, বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে-সৌদি আরবে ◈ সাফ শি‌রোপা জেতা হ‌লো না বাংলা‌ে‌দে‌শের, ভার‌তের কা‌ছে টাইব্রেকারে হে‌রে গে‌লো ◈ ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা, দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি: ‘বাংলাদেশ টক্কর দিলে বাঁচবে না’ ◈ যে ‘৩ শর্তে’ সশস্ত্র বাহিনীর চাকরিচ্যুতদের বিক্ষোভ স্থগিত হয় ◈ আইসিসি’তে জয় শাহ: ক্রিকেটে শক্তির ভারসাম্য নষ্ট করছে ভারত? ◈ সাবেক সেনাসদস্যদের বিক্ষোভ নিয়ে যা জানালেন আইএসপিআর ◈ ‘ইউনিফর্ম পড়ে আসছি, আমি কাপুরুষ না’- চাকরিচ্যুত সেনাদের উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৪ মার্চ, ২০১৯, ১১:১৪ দুপুর
আপডেট : ১৪ মার্চ, ২০১৯, ১১:১৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘বর্তমানে সবচেয়ে বেশি কলড্রপ গ্রামীণফোনে’

সাজিয়া আক্তার : মোবাইলে কথা বলার সময় হঠাৎ করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়াকেই বলে কলড্রপ। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, এখন সবচেয়ে বেশি কলড্রপ হচ্ছে গ্রামীণফোনে। টেলিকম কমপ্লায়েন্স অনুযায়ী, মাসে কলড্রপ ২ শতাংশের মধ্যে রাখার নির্দেশনা রয়েছে। অথচ গ্রামীণফোন কলড্রপ এখন ৩.৩৮ শতাংশ। তবে, প্রতিটি কলড্রপ নয়। তিনটি কলড্রপ হলে গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ দেয় গ্রামীণফোন। খরচ বেশির অজুহাতে যন্ত্র ও তরঙ্গে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে না গ্রামীণফোনসহ অন্য অপারেটরগুলো। নতুন বিনিয়োগ ছাড়া টেলিকমে গ্রাহক সেবার মান রক্ষা করা সম্ভব নয়- বলছেন টেলিকম-খাত বিশেষজ্ঞরা। ডিবিসি টিভি

গ্রামীণফোন হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত জানান, জানুয়ারিতে আমরা ক্ষতিপূরণ হিসেবে গ্রাহকদের প্রায় ৪.৫ মিলিয়ন মিনিটস দিয়েছি। একইভাবে গ্রাহকদের ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা ৪ মিলিয়ন মিনিটস দিয়েছি, যারা এই ক্ষতিপূরণের প্রাপ্য ছিলেন।

কিন্তু এমন নিয়মে গ্রাহক প্রকৃত ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না বলে জানান টেলিকম-খাত বিশেষজ্ঞরা।

এই খাতের বিশেষজ্ঞ রোকন-উজ-জামান জানান, ধরা যাক, একজন ডাক্তার তাঁর রোগীর সঙ্গে কথা বলছেন। সে হয়তো দশ মিনিট কথা বলবেন, কিন্তু এই দশ মিনিটের সেশনে বাজার মূল্য দাঁড়াবে এক হাজার টাকা। মাঝপথে কলটা কেটে গেল, সেক্ষেত্রে আবার তাঁকে এই সেশনটা শুরু করতে হবে। তাহলে এই বিবেচনায় গ্রাহক শুধু টকটাইমের টাকার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে না, তাঁর প্রোডাক্টিভ বাজার মূল্যও সে হারাচ্ছে। সুতরাং কোম্পানিগুলোকে এর ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

কলড্রপ কমাতে হলে, যন্ত্র ও তরঙ্গে নতুন বিনিয়োগ প্রয়োজন। কিন্তু খরচ বেশির অজুহাতে তা করছে না অপারেটরগুলো।

রবি হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স শাহেদ আলম জানান, যদি আমাকে গড়ে একটা কল ড্রপ কমাতে হয়, সেখানে কিন্তু আমাদের একটা উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগের প্রয়োজন আছে। এই বিনিয়োগ আমরা তখনই করবো যখন দেখা যাবে সেখানে আমাদের একটা মুনাফার সুযোগ রয়েছে। না হলে এই বিনিয়োগের কোনও অর্থ থাকবে না।

সেই সঙ্গে, গ্রাহক সেবার মান রক্ষা করতে হলে, নতুনভাবে বিনিয়োগ করা ছাড়া উপায় নেই বলেও জানান টেলিকম খাত বিশেষজ্ঞরা। রোকন-উজ-জামান জানান, ‘যদি গ্রামীণফোনের মুনাফার দিকে তাকানো যায়, তাহলে দেখা যাবে এটা উল্লেখযোগ্য মাত্রার মুনাফা। গ্রামীণফোন মাত্র ২০০ মিনিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। অথচ গত বছরেই শুধু তারা ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের মুনাফা অর্জন করেছে। সুতরাং এই মুনাফার সাপেক্ষে স্পেকট্রামের দাম খুবই নগণ্য।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়