তিন বাহিনীর প্রধান এবং দুটি প্রধান গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান নিয়োগের ক্ষমতা সরাসরি রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এই প্রস্তাবে সংবিধানের চতুর্থ ভাগের প্রথম পরিচ্ছেদের ৪৮ (৩) অনুচ্ছেদ সংশোধনের সুপারিশ করা হয়েছে।
বর্তমান সংবিধানের ৪৮ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ব্যতীত রাষ্ট্রপতি তার অন্য সব দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কার্যনির্বাহ করেন। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সংশোধিত খসড়া প্রস্তাবে এই ক্ষমতা আরও বিস্তৃত করার কথা বলা হয়েছে।
প্রস্তাবিত সংশোধিত খসড়া অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি নিম্নলিখিত বিষয়াবলিতে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়াই কার্যনির্বাহ করতে পারবেন:
১. অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ
২. জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ
৩. তথ্য কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ
৪. বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নিয়োগ
৫. আইন কমিশনের চেয়ারম্যান নিয়োগ
৬. বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের নিয়োগ
৭. বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ
৮. এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ
৯. বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ
১০. সশস্ত্র বাহিনীসমূহের (সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী) প্রধানদের নিয়োগ
১১. প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক নিয়োগ
১২. জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দার (এনএসআই) মহাপরিচালক নিয়োগ
ঐকমত্য কমিশন মনে করে, এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছালে সংবিধান ও আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার বিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। এই প্রস্তাব কার্যকর হলে দেশের গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগপ্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতির ভূমিকা আরও শক্তিশালী হবে।