মুস্তাফিজুর রহমান : ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালপুরান ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম আনোয়ার (৫৫)। তিনি একজন রিকশাচালক ছিলেন। সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ নিয়ে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৮ জনে। দগ্ধ আরও ১০ জন বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন যাদের মধ্যে আটজন আছেন বার্ন ইউনিটে।
শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আনোয়ারের শরীরের ৬১ ভাগ পুড়ে যায়। গত দুই দিন ধরে তার অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছিলো। তার শ্বাসনালিতে সংক্রমণ ছিল। এছাড়া তিনি অ্যাজমাতেও ভুগছিলেন।
ডা. সামন্তলাল সেন বলেন, দগ্ধদের মধ্যে আনোয়ারের অবস্থা বেশি খারাপ ছিল। অন্যদের অবস্থা স্থিতিশীল আছে। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো হওয়ায় হাসপাতাল থেকে তাদের ছাড়পত্র দেওয়ার চিন্তাভাবনা হচ্ছে। তারা পরবর্তীতে ফলোআপে থাকবেন।
এর আগে সোমবার দুপুরে আনোয়ারের ছেলে হৃদয় জানিয়েছিলেন, তার বাবা রিকশাচালক। ঘটনার সময় রিকশা চালিয়ে চকবাজার যাওয়ার সময় তিনি দগ্ধ হয়েছিলেন। দগ্ধ আনোয়ারের বাড়ি ফরিদপুরের রাজবাড়ী। তবে তিনি স্ত্রী এবং দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে কামরাঙ্গীরচরের ছাপড়া মসজিদ এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।
প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মুহম্মদ নওয়াজেশ খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, চকবাজারের আগুনে দগ্ধ আরও আটজন রোগী বার্ন ইউনিটে আছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে আমরা ছেড়ে দিতে পারবো। যাদের অবস্থা ভালোর দিকে তারা হলেন- মাহমুদ, সেলিম, হেলাল ও সালাউদ্দিন। অন্য রোগীরা হলেন, রেজাউল, সোহাগ, জাকির এবং মোজাফফর। তাদের সকলেরই শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ক্যাজুয়ালটি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন রবিউল (২৮) ও কাওসার (৩৫)। রবিউল ওয়ান স্টপ আইসিইউতে (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে) এবং কাওসার অর্থোপেডিক বিভাগের অধীনে ভর্তি রয়েছেন।
উল্লেখ্য, চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বার্ন ইউনিটে মোট ১৮ জন রোগীকে ভর্তি করা হয়। জরুরি বিভাগে নয়জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বাকি চিকিৎসাধীনদের মধ্যে আজ একজনের মৃত্যু হলো।