জাকির হোসেন তপন : মনে নেই কতো সাল! ৭৯, ৮০ হতে পারে, আম্মা নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে দিয়েছিলেন ছায়ানটে। তখন ছায়ানট ছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে। তখন থাকি ক্যান্টনমেন্টের মানিকদিতে, যাতায়াতের সমস্যার কারণে কয়েকটি ক্লাসের পরে আর কন্টিনিউ করা সম্ভব হয়নি। তারপর অনেকদিন কেটে গেছে। ছায়ানটে আর গান শেখা হয়নি। আজ ছায়ানটের একজন সাধারণ সংসদ সদস্য হিসেবে, সংস্কৃতি কর্মী হিসেবে, একজন মুক্ত মনের মানুষ হিসেবে ভীষণ ভালোলাগায় মন ভরে গেলো। এমন স্বীকৃতির বড় প্রয়োজন ছিলো।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ (সোমবার) সকালে ছায়ানটের হাতে ‘টেগোর অ্যাওয়ার্ড ফর কালচারাল হারমোনি’ সম্মাননা তুলে দিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ। নয়া দিল্লির প্রবাসী ভারতীয় কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্য বিশিষ্টজনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও টেগোর অ্যাওয়ার্ড জুরি বোর্ডের প্রধান নরেন্দ্র মোদি এবং সংস্কৃতি মন্ত্রী ড. মহেশ শর্মা।
সংস্কৃতি অঙ্গনে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৫ সালের সম্মাননার জন্য নির্বাচিত হয় বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠান ছায়ানট। এই প্রথম দেশের বাইরের এবং এই প্রথম কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনকে এই পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করলো ভারত সরকার। সম্মাননা গ্রহণ করে ছায়ানট সভাপতি সন্দা খাতুন তার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। ভাষণ শুরু করেন রবীন্দ্রনাথেরই শান্তি ও মৈত্রীর আহ্বানের একটি গানের দু’লাইন গেয়ে। ছায়ানটের ভূমিকা নিয়ে দু’চার কথা জানান।
এবারে একইসঙ্গে তিন বছরের সম্মাননা প্রদান করেছে ভারত সরকার। ২০১৪ সালের পুরস্কার দেয়া হয়েছে মণিপুরী নৃত্যগুরু রাজকুমার সিংহজিৎ সিংকে। ২০১৬ সালের জন্য সম্মানিত করা হয়েছে ভাস্কর রাম ভান্সুতারকে। সম্মানিত সকলকে এক কোটি ভারতীয় রুপির অর্থ পুরস্কারও দিয়েছে ভারত সরকার। ২০১১ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশততম জন্মবার্ষিকের পর ২০১২ সালে কবিগুরু স্মর্তব্য এই পুরস্কার প্রবর্তন করে ভারত সরকার। প্রথম দু’বছর সম্মানিত করা হয় প-িত রবি শঙ্কর এবং সংগীতজ্ঞ জুবিন মেহতাকে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :