মারুফুল আলম : তথ্যপ্রযুক্তির অন্তত ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানই রাজধানীতে। এসব প্রতিষ্ঠানের হাত ধরেই গেলো বছরে প্রায় ১'শ কোটি ডলার রপ্তানি হয়েছে। যা ২০২১ সালের মধ্যে ৫শ’ কোটিতে নিয়ে যেতে চায় সরকার। কিন্তু সেজন্য দেশজুড়ে ব্রডব্যান্ডের দ্রæতগতির ইন্টারনেটের সম্প্রসারন চান উদ্যোক্তারা। ডিবিসি নিউজ।
উদ্যোক্তাদের দাবি, ২০২১ সাল নাগাদ তথ্য ও প্রযুক্তিপণ্য রপ্তানির লক্ষ্যপূরণ করতে আগামী ৩ বছরে ৫ গুণ বাড়াতে হবে। সেজন্য পুরো দেশকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আনতে হবে। আবার বিদেশে টাকা পাঠানোর সীমাবদ্ধতা থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই এ সংক্রান্ত নীতিকে আরও নমনীয় করার তাগিদ দিয়েছেন তারা।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে গেছে মোবাইল সেবা। মুঠোফোনে ইন্টারনেটও ব্যবহার করছেন গ্রাম উপজেলার গ্রাহকরা। কিন্তু ব্রডব্যান্ড এখনও সুলভ নয়। থাকলেও তা ধীরগতিসম্পন্ন। লিডস কর্পোরেশন লিমিটেডের সিইও রানা সোহেল বলেন, ৪জি মোবাইল দিয়ে প্রোগ্রামিং বা কোন সফটওয়্যার এর কাজ করা যাবে না। এর জন্য আরো ব্যান্ডউইথ লাগবে, শক্তিশালী ফাইবার অপটিক, ভালো নেটওয়ার্ক থাকতে হবে। তাহলেই কাজ করা সম্ভব।
সমস্যা আরও আছে। বিদেশে কাজ করতে হলে, মাঝে মধ্যেই প্রয়োজনীয় অর্থ স্থানান্তর করতে পারেন না। যে কারণে ভিনদেশী সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ সংকুচিত হয় দেশীয় প্রতিষ্ঠানের। বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান বলেন, বছরে প্রায় ৩০ হাজার ডলারের মত অ্যামাউন্ট আমাদের বাইরে পাঠানোর সুযোগ আছে, কিন্তু এটা যথেষ্ট না। কারণ এক্সপোর্ট বাড়াতে হলে ব্র্যান্ডিং করতে হবে, মার্কেটিং এজেন্টকে পে করতে হবে, এজন্য সার্ভার খরচ দিতে হয়। এমন অনেক সার্ভিস আছে যা আমাদের দেশের বাইরে থেকে নিতে হয়। তাই এমন একটি পলিসি করা দরকার যাতে আমাদের এসব সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়।
আপনার মতামত লিখুন :