রাশিদ রিয়াজ : ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও গোয়েন্দাদের গাফিলতি ঢাকতেই পাকিস্তানের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে ভারত। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতের বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ তুলে বলেছেন, নয়াদিল্লির উচিত তদন্ত করে পুলাওয়ামা ঘটনার কারণ খুঁজে বের করা এবং গাফিলতির জন্য যে হামলা হয়েছে, তা নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও গোয়েন্দা বিভাগকে প্রশ্ন করা। পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী শুরুতেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, গোয়েন্দাদের ব্যর্থতাকে চিহ্নিত না করে আগেই কেন পাকিস্তানকে দোষারোপ করা হচ্ছে। তবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফুল এ্যাকশন নিয়েই আগাচ্ছে ভারত। দেশটির মিডিয়াগুলো বলছে, মোদীর চাপে সৌদি আরব পাকিস্তানের বিজনেস সামিটে যাওয়া স্থগিত করেছে। এবার আর পাকিস্তানে শুধু সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নয়, যা করা হবে সেটা ঐতিহাসিক হবে। অর্থনৈতিকভাবে পাকিস্তানকে প্রথম অগ্রাধিকার দেয়ার মর্যাদা কেড়ে নেয়ার পর কাশ্মীরের হুরীয়ত ও বিচ্ছিন্নবাদী নেতাদের সুরক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এরপর বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সাথে মিটিং এবং সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সঙ্গে কথাও বলেছে দিল্লি। এনডিটিভি/টাইমস অব ইন্ডিয়া
এদিকে ভারতের সাধু সন্তরা মোদীকে আর্জি জানিয়ে বলেছেন, ‘রাম মন্দির পরে হবে, আগে পাকিস্তানকে ঠুকে দিন।’ এমন আকুল আবেদন জানিয়ে শঙ্খকরাচার্য স্বরূপানন্দ সরস্বতী রাম মন্দির নির্মাণের উদ্দেশ্যে তার যাত্রা স্থগিত করেছেন। তিনি বলেন, রাম মন্দির নির্মাণের ইস্যু রাষ্ট্রীয় ইস্যু থেকে মনযোগ সরিয়ে দিতে পারে। তাই আগে পাকিস্তানকে সাজা দিতে হবে। বিজেপির এমপি বলেছেন, পুরো ভারতে জিহাদের ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে, ভারতকে বড় স্ট্রাইক করতে হবে। কাশ্মীরের সমস্যা রিজিওনাল নয়, রিলিজিওন সমস্যা। যদি ভারত ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিকে ত্যাগ না করে তাহলে ভারত অনেকে ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
কিন্তু পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতার মতে দেশপ্রেমের নামে রাজ্যে দাঙ্গা ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, রাজনীতির নামে দাঙ্গা এ রাজ্যে বরদাস্ত করা হহবে না। প্রচুর ভুয়া খবর ছড়ানো হচ্ছে। প্ররোচনায় পা না দিতেও তিনি আহবান জানিয়ে ভারতের নাগরিকদের বলেছেন, কারও কাছে দেশপ্রেম শিখব না। পুলওয়ামার ঘটনা ইন্টেলিজেন্স ফেইলিওর।