স্কুল হলো কোমলমতি শিশু-কিশোরদের নৈতিকতা শিক্ষার পিঠস্থান। তাদের জীবনের ভিত গড়ে ওঠে সেখানে। কিন্তু এই সুযোগ নিয়ে ইদানীং কিছু শিক্ষক বা শিক্ষিকা সেইসব কোমলমতি শিক্ষার্থীদের তাদের যৌন লালসার শিকারে পরিণত করছে। এমন অসংখ্য রিপোর্ট আসছে মিডিয়ায়। গ্রেপ্তার করা হচ্ছে অভিযুক্তকে। শাস্তি দেয়া হচ্ছে। জেল হচ্ছে। জরিমানা হচ্ছে। কিন্তু এই পৈশাচিকতা থামছে না। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় এক স্কুলশিক্ষিকা ক্যাটেলিন ক্যাম্পবেলের (৩৪) বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। বলা হয়েছে, তিনি মাত্র ১৫ বছর বয়সী এক বালক শিক্ষার্থীর সঙ্গে তিনি যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত পিপল ম্যাগাজিন বলছে, এ অভিযোগে গত সপ্তাহে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ক্যাটেলিন ক্যাম্পবেলকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করে হ্যালিফ্যাক্স কাউন্টি অ্যাডাল্ট ডিটেনশন সেন্টারে নেয়া হয়। কাউন্টির রেকর্ড অনুযায়ী, তার বিরুদ্ধে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী এক কিশোরের সঙ্গে সম্মতিমূলক যৌন সম্পর্ক এবং অভিভাবকের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় শিশুর প্রতি অশোভন আচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, ক্যাম্পবেল ছিলেন সি.এইচ. ফ্রেন্ড স্কুলের শিক্ষিকা। জেলার কারাগারের নথি অনুযায়ী, গ্রেপ্তারের দিনই তিনি ২,৫০০ ডলারের জামিনে মুক্তি পান। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যাম্পবেল খ্রিস্টান এই স্কুলের ইংরেজি শিক্ষিকা ছিলেন। সপ্তম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য পরিচালিত এই স্কুলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত মাসে অভিযোগ ওঠার পরপরই তাকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করা হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ডানা জোনস বলেন, আমরা বিষয়টিকে গোপন না রেখে সততাকেই বেছে নিয়েছি। ভুক্তভোগী একজন পুরুষ শিক্ষার্থী।
তিনি আরও বলেন, শাস্ত্রে খুব স্পষ্ট বলা আছে অন্ধকারে যা হয়, তা আলোতেই প্রকাশ পাবেই। আমরা বুঝতে পেরেছি, বিষয়টি পুলিশকে জানালে আমাদের প্রতিও দৃষ্টি পড়বে। তবুও আমরা যা শুনেছি, তা পুলিশের কাছে জানিয়েছি এবং তাদের তদন্ত এগিয়ে নিতে দিয়েছি। কাউন্টির রেকর্ড অনুসারে অভিযোগের ঘটনাটি ঘটেছে ১ নভেম্বর ২০২৪-এ। তদন্ত ও ক্যাম্পবেলের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিষয়ে আরও তথ্য জানার জন্য পিপল ম্যাগাজিন স্থানীয় প্রসিকিউটরের দপ্তরে যোগাযোগ করে। তবে সঙ্গে সঙ্গে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।