আসাদুজ্জামান সম্রাট : দেশের মেট্রোপলিটন এলাকায় ভবন নির্মাণ করতে যে ১৬ স্তরের অনুমোদন প্রয়োজন হতো, তা কমিয়ে চার স্তরে নামিয়ে আনার সিদ্বান্ত নিয়েছে সরকার। যুগান্তকারী এই সিদ্বান্তের ফলে জনদুর্ভোগ অনেক হ্রাস পাবে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বুধবার মন্ত্রণালয়ের এক সভা শেষে এ কথা জানান।
মন্ত্রী জানান, যে চারটি স্তর রাখা হয়েছে সেগুলো হলো— ১. ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ভূমি ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র লাগবে। ২. বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের অনাপত্তি পত্র লাগবে। ৩. কেপিআইভুক্ত ইমারতের (বঙ্গভবন, গণভবন, বাংলাদেশ ব্যাংক, সংসদ ভবন ইত্যাদি) আশপাশে ভবন নির্মাণ করতে গেলে অনাপত্তি পত্র লাগবে ও ৪. ১০ তলার বেশি উচ্চতার ভবন করতে গেলে ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন লাগবে।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে নকশার অনুমোদন পেতে ১৫০ দিনের স্থলে ৫৩ দিনে নামিয়ে আনা হয়েছে। এখন ৫৩ দিনের মধ্যেই অনুমোদন পাওয়া যাবে। ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে নকশার অনুমোদনের অনলাইন প্রক্রিয়া শেষ হবে। মে মাস থেকে অনলাইন ছাড়া আবেদন করা যাবে না। আবেদনের পর অনুমতি পাওয়া গেছে কিনা, তা অনলাইনেই জানিয়ে দেওয়া হবে। অবকাঠামোগত উন্নয়নে সব কর্তৃপক্ষকে এই সব বিধি-বিধান মেনে চলতে হবে। ভবন ও ইমারত নির্মাণের ক্ষেত্রে জনগণকে দেওয়া সেবা সহজ করার জন্য এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ’
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডি), রাজউক, সিডিএ'র এই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিডা চেয়ারম্যান, রাজউক ও সিডিএর চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তারা।
আপনার মতামত লিখুন :