হ্যাপি আক্তার : ঢাকা বিশ্বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী প্রচারণার সময় অল্প। এমন অভিযোগ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। তবে প্রশাসন বলছেন, প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার পর নয়, এখন থেকেই চালানো যাবে প্রচার। অন্য দিকে সাবেক নেতারা বলছেন, শুধু প্রচারণা চালালেই হবে না। আগে সব পক্ষকে সহনশীল হতে হবে। চ্যানেল ২৪।
নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ১৯ শে ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ। আর প্রার্থী তালিকা চ‚ড়ান্ত হবে ৩ মার্চ। নির্বাচন ১১ ই মার্চ। তার একদিন আগেই শেষ করতে হবে প্রচারণা। ফলে প্রার্থীরা প্রচারের জন্য সময় পাবেন ৬ দিন।
বামপন্থী ছাত্র সংগঠন ও কোটা সংস্কার আন্দোলনকারিদের অভিযোগ, প্রচারণার জন্য সময়টা পর্যপ্ত নয়। একপেশে নির্বাচনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন।
প্রগতিশীল ছাত্রজোটের মুখপাত্র রাশেদ শাহরিয়ার বলেছেন, এই সময়ের মধ্য দিয়ে তারা একটি সংগঠনকে বিশেষ সুবিধা জন্য তাড়াহুড়া করে তফসিল ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্যদিয়ে তারাই সুবিধা পাবে।
সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর বলেছেন, প্রশাসন যতই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলুক, সকল ছাত্র সংগঠন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারবে, এই কাজটি তারা এখানো করতে পারেনি।
ছাত্রদলের অভিযোগ, বিশেষ কাউকে জেতাতেই আয়োজন চ‚ড়ান্ত হচ্ছে। তারা বলছে, পরিবেশ ভালো না হলে নাও থাকতে পারেন নির্বাচনে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মহিন্দ্দুীন রাজু বলেছেন, যদি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করতে চায় তাহলে যে প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাচ্ছে, সেটা ঠিক আছে। তবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাইলে অবশ্যই নিরপেক্ষ হতে হবে।
তবে ছাত্রলীগের দাবি, যে সময়স‚চি দেয়া হয়েছে তা যথেষ্ট। নিজেরদের ভরাডুবির আশঙ্কায় এমন অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থার যে অবস্থা তাতে আমরা সহজেই প্রচারণা চালাতে পারি। ডাকসুর যে সময সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে ধারণ করেই করেছে।
আগে শ্রেণিকক্ষে প্রচারণা চালানো যেতো। এবারো নিয়মটি থাকলে খুব একটা অসুবিধা হতো না, বলেছেন ডাকসু'র নির্বাচিত সাবেক নেতা ডা. সুশতাক হোসেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবত যারা ক্যাম্পাসে আসে না তাদের জন্য অসুবিধা। তারপরেও ডাকসু নির্বাচনকে অনিশ্চয়তার মাঝে ফেলে দেয়া চলবে না। হলে যে আওয়ামী লীগের ছাত্রলীগ ছাড়া কাজ করতে পারছে না। সে সমস্যাটি দূর করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, গঠনতন্ত্র মেনেই সব করা হয়েছে। এর ব্যদ্যয়ের কোনো সুযোগ নেই। সম্পাদনা : জামাল