খন্দকার শাহিন: নরসিংদীর মাধবদীতে ব্যাটারী চালিত তিন চাকার বাহন সিটি সার্ভিস কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারিতা ও মনগড়া সিদ্ধান্তে ফুঁসে উঠেছে পরিবহনের চালকরা। চালকরা সকল গাড়ি বন্ধ করে প্রতিবাদ করে । এতে ভোগান্তিতে পরে মাধবদী-খড়িয়া রুটের যাত্রিরা।
জানা যায়, সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিটি সার্ভিসের চালকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ২০ টাকা করে চাঁদা আদায় করার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে পূর্বের চাঁদার সাথে আরো অতিরিক্ত টাকা গুনতে হবে চালকদের। এর প্রতিবাদে তারা এ রুটে অটো (ইজিবাইক) বন্ধ করে দেয়। এতে চাঁদা আদায়কারীদের রোষানলে পড়ে লাঞ্ছিত হয়েছে একাধিক চালক।
এ ব্যাপারে একইদিন বিকালে খড়িয়া বাজারে এর সমাধানের জন্য বসলে অটো চালকদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে খড়িয়া এলাকায় সিটি সার্ভিসের দায়িত্বে থাকা জাহাঙ্গীর ভুঁইয়া। জাহাঙ্গির এসময় হাসান নামে এক চালককে লাঞ্ছিত করে। এছাড়া ইব্রাহিম নামে আরেক চালকে মারধর করে লাইনম্যান রোমান।
চালকরা জানান, এ রুটে সিটি সার্ভিস কর্তৃপক্ষ চালকদের জিম্মি করে কিছুদিন পরপর চাঁদার পরিমান বাড়ায়। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলেই তাদের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয়।
আতাউর নামে এ রুটের এক যাত্রি জানান, হাটেরদিন বাজারে যেতে হবে কিন্তু অটো বন্ধ থাকায় কয়েকগুণ ভাড়া বেশি দিয়ে রিকশায় আসতে হয়েছে।
আড়াই হাজার এলাকার আবুল হোসেন নামে এক চাকরিজীবী জানান, দেশের বিভিন্ন শহরে পরিবেশ বান্ধব ইজিবাইকে চলাচল সহজ হয়ে উঠেছে, তাতে প্রতি আসনে দুই জন বসে। কিন্তু মাধবদীর অটোগুলোতে নারী পুরুষ একসাথে গাদাগাদি করে বসতে হয়। এতে অনেকসময় নারীরা বিব্ররতকর পরিস্থিতিতে পড়ে। কেউ এর প্রতিবাদ করতে চাইলে লাঞ্ছিত হতে হয়।
একটি সুত্র জানায়, মাধবদীতে প্রায় ৪০০ টির বেশি ব্যাটারী চালিত অটো (ইজি বাইক) রয়েছে। এর মাঝে সিটি সার্ভিসের অধীনে রয়েছে ১৫৫ টি। এতে খড়িয়া ও মাধবদীতে দুই জন লাইনম্যান কর্মরত আছে। প্রতিমাসে তাদের বেতন ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে ২০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। আর এ সার্ভিসে চাঁদা উঠানো হয় প্রতিমাসে প্রায় ৪ লাখ টাকা।
এ সার্ভিসের নামে দীর্ঘদিন ধরে বিনা রশিদে তারা হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
এছাড়া বিগত সময়ে এ সার্ভিসের বেপরোয়া চলাচলের কারনে অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ এমনকি জীবন পর্যন্ত হারিয়েছে।
মাধবদী শহরের ব্যাটারী চালিত যানবাহন গুলো ট্রাফিক আইনের আওতায় এনে ট্রাফিক পুলিশ দ্বারা নিয়ন্ত্রন এর দাবী জানান, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)'র মাধবদী থানা শাখা।
এ বিষয়ে সিটি সার্ভিসের সভাপতি হিমন এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।