আশরাফুল ইসলাম কহিনুর, হবিগঞ্জ : অর্ধলক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসার ভরসাস্থল হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার একমাত্র উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি এখন নানা সমস্যায় জর্জরিত। ফলে এ চিকিৎসা কেন্দ্রে বর্তমানে গণমানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চয়তা বিঘ্নিত হচ্ছে। নেই কোন প্রাচীর দেয়াল। উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি উন্মুক্ত থাকায় গরু-ছাগলের অবাধ বিচরণ লক্ষনীয়। এখানে শুধু একজন উপ-সহকারী মেডিক্যাল অফিসার দিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে।
কিন্তু দীর্ঘ বছর ধরে মেডিক্যাল ডাক্তার, ফার্মাসিষ্ট, দাত্রি, নাইট গার্ড ও এমএলএস পদটি শূণ্য রয়েছে। উপজেলার উপ-স্বাস্থকেন্দ্রে মানুষের সেবা কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হচ্ছে না। জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের মতো যন্ত্রপাতি ও উন্নত ভাল ঔষধ নেই। মূমূর্ষ রোগীর জন্য সর্বত্র প্রয়োজন যে অক্সিজেন কোন ব্যবস্থা নেই। সামান্য দুর্ঘটনায় কাটা ছেঁড়া রোগীর জন্য সেলাই যন্ত্রপাতি ও নেই এ উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
মারাত্মক বা সামান্য দুর্ঘটনা হলে ১৫-১৬ কিলোমিটার দূরে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল অথবা প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে হয়। প্রতিদিন অর্ধশতাধিক নারী, পুরুষ রোগী শায়েস্তাগঞ্জ উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসেন। অথচ উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপ-সহারী মেডিক্যাল অফিসার শেখর কুমার চন্দ্র রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দিলে ও প্রয়োজনীয় ঔষধ দিতে পারেন না।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চাহিদার তুলনায় এখানে ঔষদের সরবরাহ অপ্রতুল। ডাক্তারের ব্যবহারের জন্য ১টি শৌচাগার থাকলে ও রোগীদের ব্যবহারের জন্য নেই কোন শৌচাগার। নেই কোন ডাক্তার, উপ-সহকারী মেডিক্যাল অফিসার, ফার্মাসিষ্ট, ধাত্রি, নাইটগার্ড ও এমএলএসএস আবাসিক বাসভবন। ফলে প্রাকৃতির ডাকে সাড়া দিতে প্রায়ই বিব্রত কর অপরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে রোগীদের।
বিশেষ করে মহিলা, বৃদ্ধলোক ও শিশু-কিশোররা এক্ষেত্রে বড় সমস্যায় লড়তে হয়। উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৩টি কক্ষের মূল ভবনটির অবস্থা জরাজীর্ণ। এটি সংস্কারকরা খুবই প্রয়োজন। তৎকালীন পাকিস্থান সরকার আমলে ১৯৫৩ সালে চরনূর আহম্মদ মৌজায় ৯৪০, ৯৪১, ৯৪২ সাবেক দাগে ৯৪ শতাংশ উপর নির্মিত হয় উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এখন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র অরক্ষিতভাবে পড়ে রয়েছে।
উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে উপ-সহকারী মেডিক্যাল অফিসার শেখর কুমার চন্দ্র জানান, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ১০ শয্যা মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করলে অত্র এলাকার লোকজন রোগীর ভাল সেবা পাবে এবং সীমানায় প্রচুর জায়গা রয়েছে। এই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১০ শয্যা মা ও শিশু হাসপাতাল হওয়ার প্রস্তাব আসলে ও এখন ও কার্যক্রম নেই।