শিরোনাম
◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা ◈ ভারতের নেপাল নীতিতে 'রিসেট বাটন' চাপলেন মোদি, শিক্ষা বাংলাদেশের কাছ থেকে

প্রকাশিত : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১১:৪৫ দুপুর
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১১:৪৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৪৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ই¯পাতের তার তৈরির কারখানা স্থাপন করবে বিএসআরএম

নূর মাজিদ : বাংলাদেশের আবাসনখাতের সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধিকে পুঁজি করে দেশের বৃহত্তম ই¯পাতশিল্প প্রস্তুতকারক বিএসআরএম চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে একটি নতুন ই¯পাতের তার তৈরির কারখানা স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে। প্রায় ৪৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে এই কারখানা নির্মাণ করা হবে। দ্য স্টার

বিএসআরএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আলীহুসেইন আকবেরালি বলেন, বিএসআরএম ওয়ার্স নামে এই কারখানায় মূলত চার ধরনের ই¯পাতের তার উৎপাদন করা হবে। বর্তমানে দেশীয় আবাসন শিল্পের চাহিদা পূরণে এই সকল তার বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।

দেশজ নির্মাণ খাতের প্রবৃদ্ধি নিয়ে আশাবাদি আকবেরালি বলেন, বর্তমান সরকারের গৃহীত নানা মেগা প্রজেক্টের কল্যাণে দেশের ই¯পাত শিল্পের ব্যবসায় বেড়েছে। এই কারণে আগামীতে চাহিদা আরো বাড়বে। বিশ্ববাজারে বর্তমানে ই¯পাত উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের দাম কম, তবে উৎপাদিত ই¯পাত পন্যের দাম তুলনামূলক বেশি। দেশের আমদানি চাহিদা বেশি থাকায় বর্তমানে স্থানীয় বাজারেও বেশ উচ্চমুল্যেই ই¯পাতের তার কেনাবেচা করা হচ্ছে। তবে বিএসআরএম ওয়ার্স কারখানা চালু হলে এই পরিস্থিতির উন্নতি হবে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হলে উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ ব্যয় কমবে। ফলে ভোক্তাপর্যায়ে পন্যের দামও কমে আসবে।

আকবেরালি জানান, নতুন কারখানাটি স্থাপনে যে বিনিয়োগ করা হবে তার ৭০ শতাংশ ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে নেয়া হবে। পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বাকি ৩০ শতাংশ অর্থ আসবে । কারখানাটিকে শুরু থেকেই একটি কার্যকর ও লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে ৭০ শতাংশের বেশি ব্যাংকঋণ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই এই ঋণের ৩২১ কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যাংকের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছে বিএসআরএম গ্রুপ।

মূলত ঢাকা ব্যাংক ৬টি অন্যান্য ব্যাংকের স্বমন্নয়ে গঠিত সি-িকেটের মাধ্যমে এই ঋণের অর্থ সরবরাহ করছে। ব্যাংক এশিয়া, সিটি, এনসিসি, মধুমতি এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংক এই সি-িকেটে রয়েছে। এছাড়াও, সৌদি-বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল ইনভেস্টমেন্ট কো¤পানিও এই কারখানা নির্মাণের অর্থ দিচ্ছে। এই বিষয়ে ঢাকা ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা এই কারখানা নির্মাণে অর্থ দিচ্ছি, কারণ এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখবে। একইসঙ্গে এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

বিএসআরএম জানায়, ওই কারখানায় নতুন করে ৪শ লোকের কর্মসংস্থান হবে এবং সেখানে বাৎসরিক ৭৭ হাজার টন ই¯পাত উৎপাদন করা হবে। যার মধ্যে রয়েছে গ্যালভানাইজড ওয়্যার, এলপিআরসি ওয়্যার, ওয়েল্ডিং ইলেক্ট্রোড এবং সিও-২ ওয়্যার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়