শিরোনাম
◈ জাবালিয়া শরণার্থী শিবির গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইসরায়েল, ২৪ ঘন্টায় নিহত ৮৩ ◈ সারাদেশে ঝড় ও বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা ◈ স্কুলের টয়লেটে আটকা শিশু, ৬ ঘণ্টা পর বের হতে সক্ষম  ◈ পাসপোর্ট অফিসে ভোগান্তি কিছুটা কমেছে, জনবল বাড়ানোর তাগিদ  ◈ কিরগিজস্তানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার পরামর্শ দূতাবাসের ◈ কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: সাহায্য চাইলেন বাংলাদেশিরা  ◈ সংসদ ভবন এলাকায় দুই প‌ক্ষে‌র সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত ◈ আবারও বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১১৮৪৬০ টাকা ◈ ভেবেছিলাম দেশের সমস্যা ক্ষণস্থায়ী, এখন আরও বেড়েছে: এডিটরস গিল্ড ◈ দেশের উন্নয়ন দেখে বিএনপি’র মাথা খারাপ হয়ে গেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৬:১১ সকাল
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৬:১১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শীতলপটি তৈরিতে স্বাবলম্বি সহস্রাধিক পরিবার

সাত্তার আজাদ, সিলেট: সিলেটের শীতলপাটির খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বময়। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় শীতলপাটি শিল্পের সাথে সহস্রাধিক পরিবার জড়িত। সিলেটের সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় শীতলপাটি বুননে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বি বেশ কয়েকটি পরিবার। এতেই পাটি শিল্পিদের কদর যেমন বেড়েছে, পাশাপাশি এই শিল্পের সাথে এখন বাণিজ্যিকভাবে জড়িয়ে পড়েছেন অনেকে।

বালাগঞ্জের কাশীপুর গ্রামে এখন ১৫টি পরিবার শীতলপাটি বুননে জড়িত। শীতলপাটি বুননের কাঁচামাল হচ্ছে মুরতা বেত। পরিবারের গৃহিনীরাই মূলত পাটি বোনার কাজটি করেন। পুরুষেরা মুরতা সংগ্রহ করেন। তাঁদের এ পেশা চলে এসেছে বংশপরম্পরায়। সিলেট ছাড়াও মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা দাসবাজারে শীতলপাটি তৈরি ও কেনাবেচার হাট বসে। সেখান থেকে পাটি ক্রয় করে পাইকাররা তা বিদেশেও পাঠিয়ে থাকেন।

উপজেলার দাসেরবাজারে প্রতি রোববার ও বৃহস্পতিবার শীতলপাটির হাট বসে। একই উপজেলার বাংলাবাজার, হাজীগঞ্জ, দক্ষিণভাগ, শাহবাজপুর ও রাজনগর উপজেলা এবং সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জসহ সিলেট বিভাগের চার জেলার অন্তত ৩০টি স্থানে শীতলপাটির হাট বসে। এসব হাট থেকে প্রতিবছর গড়ে কোটি টাকার শীতলপাটি দেশ-বিদেশে বিক্রি হয়। একটি শীতলপাটির দাম ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৬ হাজার টাকা পর্যন্তহয়। তবে পছন্দমতো পাটি তৈরি করাতে আরও বেশি খরচ হয়।

সিলেটের বালাগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলা এ পাটি শিল্পের আদি স্থান। সিলেটের গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা, সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ, জগন্নাথপুর; হবিগঞ্জের চুনারুঘাট এবং মৌলভীবাজারের বড়লেখা, রাজনগরসহ সিলেট বিভাগের চার জেলার দুই শতাধিক গ্রামে শীতলপাটি বুননে কয়েক সহস্রাধিক পরিবার যুক্ত।

সিলেটের গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পাটি তৈরির উপকরণ বেশি হওয়ায় স্থানীয় সালুটিকরে পাটি বিক্রির আরেকটি হাট বসে। বর্ষার পুরোটা সময় ও বর্ষা শেষের দুই মাসই পাটি কেনা বেচা হয়। প্রতি শনি ও মঙ্গলবার হাট বসে। প্রতি হাটবার গড়ে কয়েক শতাধিক পাটি বিক্রি হয়। পুরো বছর এখানে অন্তত ১৫ হাজার পাটির বেচাকেনা হয়। একেকটি সাধারণ শীতলপাটি ৮০-১৫০ টাকা (ছোট), ২০০-৫০০ টাকা (মাঝারি) এবং ৫০০-১,২০০ টাকায় (বড়) বিক্রি হয়ে থাকে।

শীতলপাটির মধ্যে ‘পয়সা’, ‘সিকি’, ‘আধুলি’, ‘টাকা’, ‘নয়নতারা’, ‘আসমান তারা’, ‘শাপলা’, ‘সোনামুড়ি’, ‘টিক্ক ও অভিজাত পাটি হিসেবে ‘লালগালিচা’, ‘ধাধুলি’, ‘মিহি’ ইত্যাদি তৈরি করা হয়। বিক্রি হয় ৩০০ থেকে ১০ হাজার টাকায়। পাটিগুলো সচরাচর ৭- ৫ ফুট হয়ে থাকে।

নকশার একেকটা পাটি তৈরিতে ১৫-২০ দিন, কখনো পাঁচ থেকে ছয় মাসও লাগে। ৪ হাত বাই ৫ হাত একটি শীতলপাটি তৈরিতে কমপক্ষে ১৬০টি মুরতা লাগে। এতে মূল্য পড়ে প্রায় ২৫০ টাকা। এর বাইরে রং লাগে ২৮০ টাকার।

সিলেটের শীতলপাটি এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেসকো)।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়