আক্তারুজ্জামান : সকল পরিসংখ্যান, সকল তথ্য উপাত্ত ভুল প্রমাণ করলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ফাইনালের আগে প্রতি পাঁচজনের আগে চারজন বলছিলেন ষষ্ঠ বিপিএলের কাপও উঠতে যাচ্ছে ঢাকার হাতে। কিন্তু না, তাদের সে ভাবনা-চিন্তার প্রতিফলন ঘটেনি মাঠে। ক্রিকেট নামক অনিশ্চয়তার খেলাতে যে কোনও পরিসংখ্যানই কাজে লাগে না তা আবারও দেখা গেল শুক্রবার মিরপুরে।
উত্তাপ ছড়ানো ফাইনালে সাকিব আল হাসানের ঢাকাকে ১৭ রানে হারিয়ে শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছে ইমরুল কায়েসের দল। যে জয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন তামিম ইকবাল। ২০১৫ সালের পর আবারও বিপিএল শিরোপা ঘরে তুললো কুমিল্লা।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে শুক্রবার ফাইনালের উত্তাপটা ফাইনালের মতোই ছিল। এরকম ম্যাচ ঢাকার মাঠে এবারের আসরে একটাও দেখা যায়নি। দুশো ছোঁয়া স্কোর মিরপুরের মাঠে তো চোখেই পড়েনি। সেই মিরপুরেই দ্বিতীয়বার শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে এসেছিল কুমিল্লা। হচ্ছে না হচ্ছে না করে ফাইনালেই তামিম পেয়েছেন বিপিএলে নিজের প্রথম শতকের দেখা। তামিমের অনবদ্য ১৪১ রানের ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ৩টি উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রানের পাহাড় গড়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
দুশো রানের স্কোর টপকাতে যেয়ে শুরতেই সুনীল নারিনের রান আউটে বিপদে পড়ে ঢাকা। তবে রনি তালুকদার উপুল থারাঙ্গার ১০২ রানের জুটিতে বিপদ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছিল সর্বোচ্চ শিরোপাধারীরা। তবে ওয়াহাব রিয়াজের গতি আর রান আউটের ফাঁদে পড়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ঢাকা। তবে শেষ পর্যন্ত সবগুলো ওভার শেষে ঢাকার স্কোর দাঁড়িয়েছিল ৯ উইকেটে ১৮২। ঢাকার হয়ে রনি সর্বোচ্চ ৬৬, থারাঙ্গা ৪৮ রান করেন। এদুজন ফেরার পর ঢাকার পরাজয় সময়ের ব্যাপার ছিল মাত্র।
মিরপুরে টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্তটা বোধহয় ভুল ছিল সাকিবের। শুরুতে এভিন লুইসকে (৬) ফিরিয়ে দিয়ে শুভ সূচনা করলেও পরে আর কোন সুযোগ পায়নি ঢাকা। আনামুল হককে নিয়ে ৮৯ রান এবং ইমরুল কায়েসকে নিয়ে ১০০ রানের জুটি গড়েছেন তামিম।
ইমরুলের সঙ্গে ১০০ রানের জুটিতে মাত্র ১৭ রান এসেছে ইমরুলের ব্যাটে। বাকি সব তামিমের ব্যাটে। তাছাড়া আনামুলকে নিয়ে ৮৯ রানের পথে ২৪ রান আনামুল এবং বাকি সব তামিম করেন। সব মিলিয়ে ৬১ বল খেলে ১০ চার ও ১১ ছয়ে ১৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন। ঢাকার হয়ে রুবেল ও সাকিব একটি করে উইকেট নেন।