আব্দুস সালাম: উন্নত বিশ্বের আদলে আধুনিক মহাসড়ক ব্যবস্থাপনায় সরকারকে একটি প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট।এ ব্যবস্থাপনায় থাকছে গতিমাপক ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র এবং উদ্ধারকারী দল।বিশেষজ্ঞরা বলছেন এতে করে দুর্ঘটনা কমে আসার পাশাপাশি চালকদের নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। সূত্র একাত্তর টিভি
দেশে ১৭ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে বুয়েটের গবেষণা ইনস্টিটিউট বলছে দুর্ঘটনার মূল কারণ গাড়ির বেপরোয়া গতি, তারপরেই আছে অভার্টেকিং ও চালকের অদক্ষতা। বিভীষিকাময় এমন প্রস্তুতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য মহাসড়কে নিরাপদ পথচলার জন্য কৌশল গত একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছে বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট।
পরিকল্পনার শুরুতেই প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কে পঞ্চাশটি ব্লকে ভাগ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে মহাসড়কে প্রতি দুই কিলোমিটার পরপর বসাতে হবে গতিমাপক বিশেষ ক্যামেরা, উন্নত প্রযুক্তির এ ক্যামেরাগুলো প্রতি মুহূর্তে গাড়ির গড় গতি নিণর্য় করে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে পাঠাবে,কোথাও দুর্ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যাবে। বুয়েটের একজন গবেষক বলেন প্রতি দুই কিলোমিটার পরপর ক্যামেরা থাকলে নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ি দূত ধরা যাবে এবং তাকে জরিমানা কারা যাবে।
দুর্ঘটনার পর হতাহতদের উদ্ধারের জন্য নির্দিষ্ট দূরত্বে প্রস্তুত থাকবে উদ্ধার কর্মীদল, নির্দেশনা পাওয়ার দশ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে উদ্ধার কর্মীদল।উন্নত আদলে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকা। বুয়েটের এক গবেষকরা বলেন এটা হচ্ছে বেস্ট টেকনোলজি।
তিনি বলেন আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থায় আমরা এটা করতে পারি, এটাদিয়ে আমরা মহাসড়ক নিয়ন্ত্রণে আনতে পারি, মহাসড়কের পাশাপাশি চালকদের দক্ষ করতে ব্যবহার করা হবে প্রযুক্তি, যার অওতায় থাকছে ৯০টি ড্রাইভিং স্কুল।এসব স্কুল থেকে প্রতিবছর ৩০ হাজার চালক তৈরি করা সম্ভব।