শিরোনাম
◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে  ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী ◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েল ফসফসরাস বোমা হামলা ◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী

প্রকাশিত : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১১:৪১ দুপুর
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১১:৪১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জ্ঞান অর্জন করার ব্যাপারে পবিত্র কোরআনের আয়াতসমূহ

আল-আমিন : দ্বীনি জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর ওপর ফরজ। ইসলাম এই বিষয়টিকে এতোটাই গুরুত্ব দিয়েছে যে, ফরজ বিধান হিসেবে হুকুম প্রদান করা হয়েছে। কারণ জ্ঞান বা ইলম এমন একটি বিষয় যার মাধ্যমে মানুষের মাঝে তৈরি হওয়া অন্ধকার দূরীভূত হয়। তাই জ্ঞান অর্জন ও চর্চাকে ইসলাম এতোটা গুরুত্ব প্রদান করেছে। জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব অনুধাবন করার জন্য প্রথমেই যে বিষঢয়টি জানা প্রয়োজন সেটা হলো- জ্ঞান অর্জন বিষয়ে পবিত্র কোরআনের কোন আয়াতে কী আলোচনা এসেছে। চলনু তাহলে আমরা আজ এই বিষয়টি জানি।

জ্ঞান অর্জন বা চর্চা বিষয়ে পবিত্র কোরআনে যে সব শব্দ ব্যবহার হয়েছে তার প্রথম শব্দটি হলো- ইকরা। চলুন তাহলে দেখি ইকরা শব্দ ব্যবহারে পবিত্র কোরআনে জ্ঞান অর্জন বা চর্চা নিয়ে কী আলোচনা ইরশাদ হয়েছে-

১. পড়, নিজের আমলনামা, আজ নিজের হিসেব করার জন্য তুমি নিজেই যথেষ্ট। [সূরা বনী ইসরাঈল, ১৪]

২. পড় (হে নবী ), তোমার রবের নামে।  [সূরা আলাক, ০১]

৩. পড়, এবং তোমার রব বড় মেহেরবান।  [সূরা আলাক, ০৩]

জ্ঞান অর্জন বা চর্চা বিষয়ে পবিত্র কোরআনে যে সব শব্দ ব্যবহার হয়েছে তার দ্বিতীয় শব্দটি হলো- ইলম। চলুন তাহলে দেখি ইলম শব্দ ব্যবহারে পবিত্র কোরআনে জ্ঞান অর্জন বা চর্চা নিয়ে কী আলোচনা ইরশাদ হয়েছে-

১. তোমরা যেসব বিষয়ের জ্ঞান রাখো সেগুলোর ব্যাপারে বেশ বিতর্ক করলে, এখন আবার সেগুলোর ব্যাপারে বিতর্ক করতে চললে কেন যেগুলোর কোন জ্ঞান তোমাদের নেই ? আল্লাহ জানেন কিন্তু তোমরা জানো না। [সূরা আল ইমরান, ৬৬]

২. তার কাছে কী গায়েবের জ্ঞান আছে যে সে প্রকৃত ব্যাপারটা দেখতে পাচ্ছে? [সূরা আন নাজম, ৩৫]

৩. তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন কিছুর ইবাদত করে যার জন্য না তিনি কোনো প্রমাণ পত্র অবতীর্ণ করেছেন আর না তারা নিজেরাই তাদের ব্যাপারে কোনো জ্ঞান রাখে। এ জালেমদের জন্য কোনো সাহায্যকারী নেই। [সূরা আল হজ, ৭১]

৪. এ বিষয়ে তাদের কোনো জ্ঞান নেই এবং তাদের বাপ-দাদারও ছিল না। তাদের মুখ থেকে বেরুনো একথা অত্যন্ত সাংঘাতিক ! তারা নিছক মিথ্যাই বলে। [সূরা কাহাব, ০৫]

৫. হে নবী, এদের বলে দাও, তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদের ডেকে থাকো কখনো কী তাদের ব্যাপারে ভেবে দেখেছো? আমাকে একটু দেখাও তো পৃথিবীতে তারা কী সৃষ্টি করেছে কিংবা আসমানসমূহের সৃষ্টি ও ব্যবস্থাপনায় তাদের কী অংশ আছে। যদি তোমরা সত্যবাদী হও তাহলে ইতোপূর্বে প্রেরিত কোন কিতাব কিংবা জ্ঞানের কোন অবশিষ্টাংশ (এসব আকীদা-বিশ্বাসের সমর্থনে) তোমাদের কাছে থাকলে নিয়ে এসো। [সূরা আল আহক্বাফ, ০৪]

৬. আরো কিছু লোক এমন আছে যারা কোনো জ্ঞান পথ নির্দেশনা ও আলো বিকিরণকারী কিতাব ছাড়াই ঘাড় শক্ত করে। [সূরা হজ, ০৮]

৭. আমি মানুষকে নিজের পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু যদি তারা তোমার ওপর চাপ দেয় যে, তুমি এমন কোন (মা’বুদকে) আমার সাথে শরীক করো যাকে তুমি (আমার শরীক হিসেবে) জানো না, তাহলে তাদের আনুগত্য করো না। আমার দিকেই তোমাদের সবাইকে ফিরে আসতে হবে, তখন আমি তোমাদের জানাবো তোমরা কী করছিলে। [সূরা আল আনকাবুত, ০৮]

৮. সেই সময়ের জ্ঞান আল্লাহর কাছেই ফিরে যায় এবং সেসব ফল সম্পর্কেও তিনিই অবহিত যা সবে মাত্র তার কুঁড়ি থেকে বের হয়। তিনিই জানেন কোন্ মাদি গর্ভধারণ করেছে এবং কে বাচ্চা প্রসব করেছে। যে দিন তিনি এসব লোকদের ডেকে বলবেন, আমার সেই সব শরীকরা কোথায় ?  তারা বলবেঃ আমরা তো বলেছি, আজ আমাদের কেউ-ই এ সাক্ষ্য দেবে না। [সূরা হা মীম আস সাজদা, ৪৭]

৯. অথচ এ ব্যাপারে তাদের কোন জ্ঞানই নেই। তারা কেবলই বদ্ধমূল ধারণার অনুসরণ করছে। আর ধারণা কখনো জ্ঞানের প্রয়োজন পূরণে কোন কাজে আসতে পারে না। [সূরা নাজম, ২৮]

১০. তুমি কি কখনো সেই ব্যক্তির অবস্থা ভেবে দেখেছো যে তার প্রবৃত্তির কামনা বাসনাকে খোদা বানিয়ে নিয়েছে আর জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও  আল্লাহ তাকে গোমরাহীর মধ্যে নিক্ষেপ করেছেন, তার দিলে ও কানে মোহর মেরে দিয়েছেন এবং চোখে আবরণ সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ ছাড়া আর কে আছে যে তাকে হিদায়াত দান করতে পারে? তোমরা কী কোন শিক্ষা গ্রহণ করো না? [সূরা জাসিয়াহ, ২৩]

১১. নূহ তখনই বললো, হে আমার রব! যে জিনিসের ব্যাপারে আমার জ্ঞান নেই তা তোমার কাছে চাইবো- এ থেকে আমি তোমার কাছে পানাহ চাচ্ছি। যদি তুমি আমাকে মাফ না করো এবং আমার প্রতি রহমত না করো তাহলে আমি ধ্বংস হয়ে যাবো। [সূরা হূদ, ৪৭]

১২. কিন্তু এ জালেমরা না জেনে বুঝে নিজেদের চিন্তা-ধারণার পেছনে ছুটে চলছে। এখন আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেছেন কে তাকে পথ দেখাতে পারে? এ ধরনের লোকদের কোন সাহায্যকারী হতে পারে না। [সূরা রূম, ২৯]

১৩. কতক লোক এমন আছে যারা জ্ঞান ছাড়াই আল্লাহর ব্যাপারে বিতর্ক করে এবং প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তানের অনুসরণ করতে থাকে। [সূরা হজ, ৩]

১৪. তোমরা আমাকে আহ্বান জানাচ্ছো যেন আমি আল্লাহর সাথে কুফরী করি এবং সেসব সত্তাকে তাঁর সাথে শরীক করি যাদের আমি জানি না।  অথচ আমি তোমাদের সে মহাপরাক্রমশালী ও ক্ষমাশীল আল্লাহর দিকে আহ্বান জানাচ্ছি। [সূরা আর মুমিন, ৪২]

১৫. একমাত্র আল্লাহই সেই সময়ের জ্ঞান রাখেন। তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করেন। তিনিই জানেন মাতৃগর্ভে কী লালিত হচ্ছে। কোন প্রাণসত্তা জানে না আগামীকাল সে কী উপার্জন করবে এবং কোন ব্যক্তির জানা নেই তার মৃত্যু হবে কোন যমীনে। আল্লাহই সকল জ্ঞানের অধিকারী এবং তিনি সবকিছু জানেন। [সূরা লুকমান, ৩৪]

জ্ঞান অর্জন বা চর্চা বিষয়ে পবিত্র কোরআনে যে সব শব্দ ব্যবহার হয়েছে তার প্রথম শব্দটি হলো- হিকমাহ। চলুন তাহলে দেখি হিকমাহ শব্দ ব্যবহারে পবিত্র কোরআনে জ্ঞান অর্জন বা চর্চা নিয়ে কি আলোচনা ইরশাদ হয়েছে-

১. আরো আছে এমন যুক্তি যা নসীহতের উদ্দেশ্যকে পূর্ণ মাত্রায় পূরণ করে। কিন্তু সাবধানবাণী তাদের জন্য ফলপ্রদ হয় না। [সূরা কামার, ০৫]

২. তুমি বলো, আল্লাহ তাদের অবস্থানের মেয়াদ সম্পর্কে বেশি জানেন। আকাশ ও পৃথিবীর যাবতীয় প্রচ্ছন্ন অবস্থা তিনিই জানেন, কেমন চমৎকার তিনি দ্রষ্টা ও শ্রোতা! পৃথিবী ও আকাশের সকল সৃষ্টির তত্ত্বাবধানকারী তিনি ছাড়া আর কেউ নেই এবং নিজের শাসন কর্তৃত্ব তিনি কাউকে শরীক করেন না। [আল কাহাফ, ২৬]

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়