মারুফুল আলম : বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে তাবলীগ জামাতের এখনো কাটেনি। সরকারের মধ্যস্ততায় তারিখ নির্ধারণ হলেও মোনাজাত পরিচালনা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ রয়ে গেছে। একসঙ্গে ইজতেমা অনুষ্ঠানের। কথা বলেছেন মাওলানা সাদ অনুসারীরা।
তবে, বিবদমান দুই পক্ষের উদ্যোগে পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুসারে আগামী ১৫ থেকে ১৭ ফেব্রæয়ারি এই তিন দিন একটি পর্বে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তবে, কে মোনাজাত পরিচালনা করবেন তা চূড়ান্ত করতে আবারো বৈঠকে বসার কথা জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। সূত্র: সময় টিভি।
তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ সহিংসতায় রূপ নেয় গত পহেলা ডিসেম্বর। সেদিন টঙ্গীর তুরাগ তীরে ইজতেমা ময়দান ও এর আশেপাশে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভী এবং মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা। এ নিয়ে রোববার দুদফা বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ইজতেমার তারিখ দু’পক্ষের আলোচনার প্রেক্ষিতে যেটি নির্ধারণ করা হয়েছে সেটিই থাকবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সারাবিশ্বে তাবলীগ জামাতের মধ্যে মতাদর্শ রয়েছে। আমাদের বাংলাদেশও সেখান থেকে বাদ যায়নি। একই সঙ্গে সবাই হবে সেই প্রচেষ্টায় আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।’ এদিকে, সচিবালয়ে দ্বিতীয় দফা বৈঠকের পর ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুসারে একই তারিখে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। তবে, কে পরিচালনা করবেন তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ বলেন, ১৫, ১৬, ১৭ তারিখ নির্ধারন করা হয়েছে; ওই দিনেই তাবলীগ জামাতের ইজতেমা হবে তবে, দু দফা বৈঠকের পর মাওলানা সাদ অনুসারীরা জানান, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে একত্রে ইজতেমা অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়।
মাওলানা সাদ অনুসারী মাওলানা আশরাফ আলী বলেন, ‘১ ডিসেম্বর যে ঘটনা ঘটেছে এতে আমাদের বিশাল ইমেজ সঙ্কট দেখা দিছে। আবার কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে আমরা অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বো। ১৫, ১৬, ১৭ তারিখে আমাদের সাথীরা আসতে রাজি হচ্ছে না।’ তবে, ইতেমায় কে মোনাজাত পরিচালনা করবেন তা নির্ধারনসহ সার্বিক বিষয়ে আবারও বৈঠক বসার কথা জানান তারা।
আপনার মতামত লিখুন :