খায়রুল আলম : রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায় বলেছেন, টিআই বিভিন্ন পত্রিকার কাটিং নিয়ে এক সাথে যোগ করে দুর্নীতির উপর সূচক তৈরি করে। এগুলোর কেনো ভিত্তি নেই।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, যারা বিভিন্ন বিষয় জরিপ করে তাদের অনেক টিম থাকে। কিন্তু টিআইয়ের কোনো টিম আছে? কোন তথ্য-সূত্রের উপর ভিত্তি করে তারা রিপোর্ট তৈরি করে? একশ বছর আগের পৃথিবী আর বর্তমান পৃথিবীর মধ্যে অনেক তফাৎ। পৃথিবী দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের জীবন ধারা পরিবর্তন হয়েছে। অর্থ বাড়ছে। এটি ঠিক চুরির প্রবণতাও বাড়ছে। দুর্নীতি মানব জাতির আদিম রোগ। এটি সহজে তো শেষ হবে না। ক্যানভাস যখন বড় হয়, ছবি আঁকতে রঙ বেশি লাগে তুলিও বেশি লাগে। অতএব বাংলাদেশ যেহেতু একটি সমৃদ্ধির জায়গায় চলে এসেছে, এখন অনেক কিছুই বাড়বে। সেটিকে সামলে রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দিতে কেন বলেছেন, নিশ্চিয় দেশে দুর্নীতি আছে বলেই এমনটি বলেছেন। এখানে আবার টিআই-এর রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করার প্রয়োজন আমাদের দেশে দুর্নীতি আছে এবং সেটিকে মুক্ত করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। শেখ হাসিনা বুঝেছেন দেশের যে সমৃদ্ধি হওয়ার কথা সে পরিমাণ হচ্ছে না। সরকারি দলের হোক বা বাইরের হোক গুটিকয়েক মানুষ অনেক কিছু খেয়ে ফেলছে। সার্বিক কারণেই প্রধানমন্ত্রীর মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। তিনি কোনো কিছুই গোপন করেননি। দুর্নীতি দেশের নানা জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে বলেই এমন যুদ্ধ ঘোষণা দিতে হয়েছে। দেশে দুর্নীতি শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে যখন জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসেন। তিনি তেজগাঁয়ে বিশ কাঠার একটি প্লট দিয়েছেন মাত্র ২০ লাখ টাকা দিয়ে। যারা এ জমি নিয়েছে তাদের নাতিরা এখন বিদেশ থেকে পড়াশোনা করে ইংরেজি বাংলা মিশিয়ে নীতি কথা বলে। কিন্তু তাদের দিয়ে যে দুর্নীতি শুরু হয়েছে সেটি বলে না। দেশে সব অপরাধের বিচার হচ্ছে, কেউ ছাড় পাবে না। সে দুর্নীতিবাজ হোক আর মাদক ব্যবসায়ী হোক।
আপনার মতামত লিখুন :