তরিকুল ইসলাম : পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, প্রবাসী দিবস উদযাপনের বিষয়টি এখনও সরকারিভাবে উত্থাপিত হয়নি। যতদিন না হয় ততদিন আমরা বেসরকারিভাবে দিবসটি উদযাপন করবো। প্রবাসী সপ্তাহ উদযাপন করে দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের কীভাবে সম্পৃক্ত করা যায় সেটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি।
সোমবার রাতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এনআরবি (নন রেসিডেন্স বাংলাদেশি)-ডে উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য সরকারের এ পরিকল্পনার কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। স্কলারস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবার দিবসটি উদযাপন করা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি ইতোমধ্যে বাংলাদেশি মিশনগুলোকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছি। প্রবাসীরা যেনো তাদের একটি সংক্ষিপ্ত বায়োডাটা মিশনে জমা দেন। যাতে করে সরকার তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।
বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের অভিজ্ঞতা ও কর্মক্ষমতা কাজে লাগানোর জন্য একটি ডাটাবেজ তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, প্রবাসীরা যেনো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারেন, সেজন্য আমার মন্ত্রণালয় থেকে সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করবো। দেশের ৪৯ ভাগ জনগণের বয়স ২৫ বছরের নিচে। এই জনগণকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। প্রবাসীরা বিনিয়োগের মাধ্যমে এগিয়ে আসতে পারে। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বিনিয়োগের পাশাপাশি প্রযুক্তির প্রয়োজন রয়েছে।
বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিটেন্সের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা অনেক কষ্ট করে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাচ্ছেন তাদের কল্যাণে ও মর্যাদা রক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর। তারাই বিদেশের মাটিতে দেশের মর্যাদা রক্ষায় কাজ করছেন। তাই দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কাজ করা যাবে না।