শিরোনাম
◈ জলদস্যুদের ধাওয়ায় ট্রলারডুবি: ২৪ ঘণ্টা সাগরে ভেসে ১৮ জেলের জীবনরক্ষা ◈ চীনের ঋণে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে অগ্রসর হচ্ছে বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সংস্কার সম্পন্ন করা জরুরি: ইইউ রাষ্ট্রদূত ◈ জাকসু নির্বাচনে কারসাজি, এক দলকে জিতিয়ে আনতে সব মনোযোগ ছিল: শিক্ষক নেটওয়ার্ক ◈ হ্যান্ডশেক না করায় ভারতীয়দের উপর চটলেন পা‌কিস্তা‌নের শোয়েব আখতার ◈ ১৩ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা ◈ বড় সুখবর ছুটি নিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ◈ ফরিদপুরে মহাসড়কে হঠাৎ বিক্ষোভ, যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ  ◈ নিলামে আরও ৩৫৩ মিলিয়ন ডলার কিনলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক ◈ কোনো চাপে নয়, ভারতের অনুরোধে ইলিশ পাঠানো হয়েছে: উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ২৮ জানুয়ারী, ২০১৯, ০৩:৫৯ রাত
আপডেট : ২৮ জানুয়ারী, ২০১৯, ০৩:৫৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশে টাইফয়েডের অ্যান্টবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পেলেন গবেষকরা

লিহান লিমা: বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে টাইফয়েড রোগ নিরাময়ের জন্য অ্যান্টি-বায়োটিক প্রতিহতকারী সুপারবার্গের এর সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা। অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জীবাণুগুলোকেই সুপারবার্গ বলা হয়ে থাকে। ইউরোপা।

 

গবেষকরা আশঙ্কা করছেন, টাইফয়েডের প্রতিষেধক প্রতিহত করার জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়ার ফলে কয়েক বছরের মধ্যেই টাইফয়েড নিরাময়কারী অ্যান্টি-বায়োটিক অকার্যকর হয়ে পড়বে। মেরিয়োস্ক ফাউন্ডেশনের সায়েন্টিফিক ডিরেক্টর এবং ইরামোস বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রপিক্যাল ব্যাকটেরিওলজির প্রফেসর প্রফেসর হুবার্ট এন্দেজ বলেন, ‘যে সব এলাকায় এই রোগের মহামারী দেখা যায় সেখানে এই ব্যাকটেরিয়ার উত্থান হচ্ছে এবং অ্যান্টি-বায়োটিক সঠিকভাবে কাজ করছে না। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো পাকিস্তান এবং এখন বাংলাদেশে দেখা গিয়েছে।’

 

 

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ‘প্রতিবছর নতুন করে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ থেকে ২ কোটি লোক টাইফয়েডে আক্রান্ত হন। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১ লাখ ২৮ হাজার থেকে ১ লাখ ৬১ হাজার।’ উচ্চতর সংক্রামক এই ব্যাধির জন্য স্যালমোনিলা টাইফি ব্যাকটেরিয়াকে দায়ী করা হয়। দূষিত খাবার ও পানি, অনুন্নত স্যাটিটেশন ব্যবস্থায় এই ব্যাকটেরিয়া বেশি ছড়ায়। এশিয়া এবং আফ্রিকার বেশিরভাগ অঞ্চলে এর প্রার্দুভাব বেশি।  জ্বর, পেটব্যাথা, বমি, মাথাব্যাথা এবং ডায়ারিয়া এর অন্যতম লক্ষণ। এই রোগের চিকিৎসায় সবচেয়ে প্রচলিত পদ্ধতি অ্যান্টি-বায়োটিক। এর ব্যবহার এটি নিশ্চিত করে, টাইফয়েডে ভুগে মৃত্যুর আশঙ্কা মাত্র ১ ভাগ।  কিন্তু যদি এই অ্যান্টি-বায়োটিক অকার্যকর হয়ে পড়ে তবে এটি ১৫ ভাগে গিয়ে পৌঁছবে। যা প্রতিবছর ৩০ থেকে ৪০ লাখ মৃত্যুর কারণ হবে। মঙ্গলবার এমবায়ো’তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দেয়া হয়।

 

অ্যান্টিবায়োটিকের কর্মক্ষমতা শেষ হয়ে যাওয়াকে একবিংশ শতাব্দীর জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি বলে মনে করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে ওষুধ-প্রতিরোধী সংক্রমণের কারণে বছরে ৭ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে এমন ব্যাকটেরিয়া পেয়েছেন যা কলিস্টিন অ্যান্টিবায়োটিক ঠেকিয়ে দিতে পারে। এর ফলে অনিরাময়যোগ্য সংক্রমণের হুমকি বেড়েছে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়